আব্দুল মান্নান

ঢাকা-১০ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপি নেতা আবদুল মান্নান প্রচারে বাধা দেওয়া, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারসহ নানা অভিযোগ করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার ধানমন্ডিতে তাঁর বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। মান্নান অভিযোগ করেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকা-১০ এলাকা নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি।

তফসিল ঘোষণার পর সাত-আটটি মামলাসহ মোট শতাধিক মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় তাঁর নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদিনই বিএনপি জোটের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। এ পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মান্নান বলেন, তাঁর আইনজীবী ইকবালকে পরোয়ানাবিহীনভাবে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তিনি নিজে গিয়ে পুলিশকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে পুলিশ ওপরের নির্দেশের কথা জানিয়ে ছাড়তে অস্বীকার করে। ১৩ ডিসেম্বর নিউমার্কেট থানায় নিয়ে আসা বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর পাটোয়ারীর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে পুলিশ দেখা করার অনুমতি পর্যন্ত দেয়নি।

আবদুল মান্নান বলেন, ১১ ডিসেম্বর তিনি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর চিঠিতে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

অন্য খবর  পদ্মা কলেজের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন

১৬ ডিসেম্বর প্রচারণায় বাধা দেওয়া, মাইক ভাঙচুর ও মারধরের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানানো হয়। এ সময় অনুলিপি দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনের সচিবকে। একই দিনে কলাবাগানের সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার সিরাজুল ইসলামকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

নির্বাচনী প্রচারে পদে পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করে মান্নান বলেন, ‘আমার পোস্টার-লিফলেট ছেঁড়া, পোড়ানো, ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলা, মাইক ভাঙচুর, পোস্টার লাগানোর কাজে নিয়োজিত লোকদের গালিগালাজ করা হয়।’

মান্নান অভিযোগ করেন, তাঁর বাসার চারপাশে সাদাপোশাকে সব সময় পুলিশ ও বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছে। এতে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ফলে তাঁর নেতা-কর্মীরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ভয় পাচ্ছেন।

এসব নিয়ে মান্নান নিজে নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়ে সরাসরি অভিযোগ করলেও এখনো পর্যন্ত কমিশন গ্রেপ্তার বন্ধ ও তাদের প্রচারের সুযোগ নিশ্চিত করার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের অস্থিমজ্জা নেই মন্তব্য করে মান্নান বলেন, ‘আপনারা যে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, সে দায়িত্ব নিলেন কেন?’ তিনি নির্বাচন কমিশনকে অ্যামিবার সঙ্গে তুলনা করেন। এই আসনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি বলেও মন্তব্য করেন মান্নান।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জে প্রতীক বরাদ্দের দিনেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

নির্বাচনী প্রচারে কবে নামবেন, তা জানতে চাইলে মান্নান বলেন, ‘দুই-এক দিনের মধ্যে আমরা শত বাধা উপেক্ষা করে মাঠে নামব।’

আপনার মতামত দিন