আছিফুর রহমান, নিউজ৩৯.নেট ♦ জয়পাড়া বাজারের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া জয়পাড়া খালের একটি শাখা জয়পাড়া কলেজের পেছন দিয়ে আড়িয়াল বিলে যেয়ে মিশেছে, যা জয়পড়া থেকে আড়িয়াল বিল পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের উপকার করে চলছে।
এই প্রয়োজনীয় খালটি এখন দখলের কবলে! সামনে থেকে এই দখলের নেতৃত্ব দিছে বিবেক জাগরণের কেন্দ্র একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। জয়পাড়া কলেজের অবিবেচক আচরণের কারনে প্রায় অর্ধেক খাল এখন দেয়ালের আড়ালে!
এই খালের উপর কলেজের উত্তর পাশে যেখানে সেতু সেখানে ‘সীমানা দেয়াল’ তৈরির নামে খালের বড় একটা অংশ দখল করেছে সয়ং কলেজ কতৃপক্ষ। খালই যেখানে সীমানা সেখানে প্রাচীর নির্মাণ প্রশ্নবিদ্ধ।
খালের উপর দেয়াল তৈরি করেছে কলেজ। কিন্তু এর দায় তারা সরাসরি চাপিয়ে দিচ্ছে দোহার পৌরসভার উপর। পৌরসভা অস্বীকার করে পাল্টা দায়িত্ব চাপিয়েছে কলেজের উপর।
এই বিষয়ে নিউজ৩৯-কে জয়পাড়া কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেনে বলেন, “এই খাল দখলের সাথে কলেজের কোন সম্পর্ক নেই। জেলা পরিষদ থেকে এই কাজ করা হয়েছে এবং মূল তদারকিতে তারাই ছিল।“
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের দায় এরিয়ে গেলেও দোহার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, সীমানা প্রচীরের কাজ জয়পাড়া কলেজের অধীনেই হয়েছে। পরবর্তীতে দোহার পৌরসভা এই ব্যাপারে অভিযোগ জানায়। তিনি আরো জানান, এই দখলকৃত জায়গায় তারা মার্কেট করতে চেয়েছিল।
পৌরসভার আপত্তিতে তারা মার্কেট নির্মান থেকে সরে আসে। মোয়াজ্জম হোসেন আরো জানান, তারা এই খালের দেয়াল ভাংগার জন্য পৌরসভাকে অনুরোধ জানিয়েছেন। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, কাজটা যেহেতু জেলা পরিষদ করেছে তাই এটা ভাঙ্গার এখতিয়ার তাদের নেই। তবে এই দেয়াল ভাঙ্গার ব্যাপারে তারা জেলা পরিষদকে চিঠি দিয়েছে, অচীরেই এই খাল দখল মুক্ত করা হবে। দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিউজ৩৯-কে জানিয়েছেন এই ব্যাপারে তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কিন্তু এলাকাবাসীর ধারণা ভিন্ন, এই পাল্টাপাল্টি দায় চাপনোর মাধ্যমে দেয়ালটিকে টিকিয়ে রাখার পায়তারা হচ্ছে। গত কয়েক বছরে জয়পাড়া ও আশেপাশের বেশ কয়েকটি খাল ভরাট ও দখল হয়েছে, যার খেসারত দিচ্ছে এলাকাবাসী। একসময় দোহারের জনগণ জলাবদ্ধতার সাথে পরিচিত ছিল না যার কারণ ওই খালগুলি, এখন তারা বৃষ্টি হলেই ভোগছেন জলাবদ্ধতায়।