গণটিকাদানঃ দোহারে ৫৬০০জনকে দেয়া হলো টিকা

দোহারে করোনা ভাইরাসের গণটিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন।

137

মোঃ আল আমিন, শরিফ হাসান ও শেখ শামীম; news39.net: শনিবার দোহারে উদ্বোধন হয়েছে গণ টিকাদান কর্মসূচি। ৭অগাস্ট থেকে ১২অগাস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত এই টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। গণটিকাদান কর্মসূচীতে দোহারে ৫৬০০জনকে দেয়া হলো টিকা । প্রথমদিনে দোহারের প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ছিলো উপচেপড়া ভীড়। সেসময় স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হিমশিম খেতে হয় প্রতিটি কেন্দ্রের কতৃপক্ষকে। এছাড়া, জয়পাড়া সরকারি মডেল স্কুল নিয়মিত কেন্দ্রে শনিবার ৬৭৮টি টিকা দেয়া হয়েছে। তাই, মোট ১০টি কেন্দ্রে মোট ৬২৭৮টি টিকা দেয়া হয়েছে। দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশব্যাপী ছয় দিনে ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দিতে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শনিাবর সকাল ৯টায় দোহারের ৯টি গণটিকাদান কেন্দ্রে টিকা দেওয়া শুরু হয়। বিকাল ৩টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলার কথা থাকলেও টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়। দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ মাহমুদ নাঈম প্রতিটি কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

কোভিড-১৯ টিকা বাস্তবায়ন কমিটির দোহার উপজেলার সদস্য সচিব ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, গ্রামে-গঞ্জে প্রচুর মানুষ টিকা নিতে এসেছে। আমরা মনে করি, এই গণটিকাদান কর্মসূচি মানুষের মধ্যে একটা উৎসাহ-উদ্দীপনার তৈরি করবে। দেশজুড়ে শুরু হওয়া এই টিকাদান কর্মসূচি দোহার-নবাবগঞ্জে এলাকায় চলবে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত। এছাড়া প্রথমদিন বাদ পড়া ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ের ওয়ার্ডে টিকা দেওয়া হবে ৮ ও ৯ অগাস্ট।

অন্য খবর  এসএসসি পরীক্ষা: নবাবগঞ্জে প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৩১ জন; দোহারে উপস্থিত শতভাগ শিক্ষার্থী

কোভিড-১৯ টিকা বাস্তবায়ন কমিটির দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ নাঈম বলেন, আজকে আমরা টিকা কর্মসূচি শুরু করলাম। কোন মানুষকে বাদ দেওয়া হবে না। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক এই কর্মসূচির আয়াত্বাধীনে দোহারের সকলকে টিকা দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৮ বছরের বয়সীরা এলেও তারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না। কারণ ভোটার আইডি কার্ড দেখে স্পট রেজিস্ট্রেশন করিয়ে তারপর টিকা দেওয়া হচ্ছে।

কুসুম হাঁটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন আজাদ জানান, সকাল থেকেই মানুষ টিকা নিতে কেন্দ্র ভীড় জমাচ্ছে। সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছি। আমাদের এখানে স্বেচ্ছাসেবকলীগের দশজন, ছাত্রলীগের দশজন,কৃষক লীগের দশজন, এমএইচভি, আনসার,পুলিশসহ ডাক্তাররা ছিলেন। আমাদের এখানে ১০০০ থেকে ১৫০০ হাজার লোক রয়েছে। আমরা কল্পনাও করতে পারি নাই যে, এত মানুষ হবে। আমাদের ৬০০ টিকা দিয়েছে। কিন্তু আমাদের আরো টিকা দরকার ছিল এত কম টিকায় হচ্ছে না।

দোহারের মাহমুদ ইউনিয়নের চর হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিকা নিতে আসা আমিন উদ্দিন (৬৫) জানান, টিকা কেন্দ্রে ভিতরে স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে। কিন্তু বাইরে কোন স্বাস্থ্য বিধি মানছে না জনগন। আমি টিকা নিতে পেরে, আল্লাহ কাছে শুকরিয়া জানাই।

অন্য খবর  দোহারে শিশু ধর্ষনঃ সামাজিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত পরিবার

কুসুমহাটি ইউনিয়ন পরিষদের কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে টিকা নিতে আসা মো আলাউদ্দিন(৫৫) জানান,আমি সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ভিতরে ঢুকেছি। কিন্তু ভিতর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কি কারনে বের করে দিলো, আমি সেটা জানি না। তবে সরকার আমাদের সুযোগ দিয়েছে টিকা দিতে কিন্ত সে সুযোগ আমরা পাচ্ছি না।

করোনা গণটিকাদান কেন্দ্রে ছিলো উপচেপড়া ভীড়। অনেক সময়ই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হতে দেখা গিয়েছে। যদিও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসনের ছিলো সক্রিয় অংশগ্রহণ। এছাড়া, বিভিন্ন কেন্দ্রে রাজনৈতিক সমর্থকদের আগে টিকাদান এবং নারীদের টিকাদানে আলাদা বুথ স্থাপন না করায়, অনেক নারীকেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে।

আপনার মতামত দিন