আছিফ শেখ♦ নবাবগঞ্জ উপজেলায় মহাকবি কায়কোবাদের ১৫৭তম জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে মহাকবি কায়কোবাদ সাহিত্য সংঘের উদ্যোগে উপজেলা সদর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কবির জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক, কবি ও বহুমাত্রিক লেখক সাযযাদ কাদির, কবি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শহিদুল্লাহ আনসারী, মহাকবি কায়কোবাদের দৌহিত্র এ.ই মুনিম ও আশ্রাফউদ্দিন আহমদ। প্রধান আলোচক ছিলেন লেখক, সংগঠক ও মহাকবি কায়কোবাদ গবেষক দেওয়ান শামসুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কায়কোবাদ সাহিত্য সংঘের সভাপতি আবদুল মুহিত দুলু। প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দোহার নবাবগঞ্জ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শফিউদ্দিন খান, বর্তমান অধ্যক্ষ মানবেন্দ্র দত্ত, ছড়াকার ও গীতিকার সামছুল করিম খান, সাবেক অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ, অধ্যাপক এসএম মোশারফ হোসেন, শিক্ষক সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ।
১৮৫৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা পূর্বপাড়া গ্রামে কায়কোবাদের জন্ম। তিনি ৯৪ বছর বয়সে ১৯৫১ সালে মারা যান। ৮২ বছর ধরে তিনি সাহিত্য নিয়ে চর্চা করেছেন। অসাম্প্রদায়িক আধুনিক শুদ্ধ বাংলায় গীতিকাব্য, কাহিনী কাব্য, কাব্য উপন্যাস রচনা করে গেছেন কায়কোবাদ। ১৮৯৬ সালে প্রকাশিত হয় তার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ অশ্রুমালা। এ অশ্রুমালা প্রকাশের পর কায়কোবাদ সাহিত্য সমাজে প্রতিষ্ঠিত হন। সম্পাদক, কবি নবীন চন্দ্র সেন বঙ্গবাসী ঢাকা গেজেট ও কলকাতা গেজেট অশ্রুমালার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
১৯০৪ সালে প্রকাশিত হয় কবির অমর মহাকাব্যগ্রন্থ মহাশ্মশান যা পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের ঐতিহাসিক ঘটনা অবলম্বনে রচিত। মহাশ্মশান কাব্যগ্রন্থ রচনার মধ্য দিয়ে কবির অসাধারণ, নিষ্ঠা, সাধনা ও বড় মনের পরিচয় ছড়িয়ে পড়ে। পানিপথের এ যুদ্ধে মারাঠা শক্তির যদিও মুসলমানদের হাতে পরাজয় ঘটে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভারতে হিন্দু-মুসলিম উভয় শক্তি দুটিই দুর্বল হয়ে পড়ে।
![](https://news39.net/wp-content/uploads/2024/06/rashed-chokder-adha24-min.jpg)
![](https://news39.net/wp-content/uploads/2023/08/protiva-coaching-ad-primary-teacher-2023-min.jpg)