জীবনটা এক ছোট্ট নদী
একটা নদী পেরিয়ে এলাম, সেই নদীটার মধ্যখানে
নষ্ট ক’টা পদ্মকুসুম পাঁপড়ি ভাঙে স্রোতের টানে।
সামনে এখন একটা নদী, যায় দেখা যায় শুষ্ক তট
মাঝখানে তার প্রবালদ্বীপে হাতছানি দেয় শিমুলবট।
সিঁড়ি বেয়ে উঠতে দেখি ভাবের ভুবন অনুর্বর
জীবনটা এক ছোট্ট নদী, মাঝখানে তার শুকনো চর।
কালের বাল্মীকি
গীটারের তার থেকে ক্রমশ স্থবির হয়ে
হাত দুটো সরে যায় কুমারী মেয়ের
চুলের বেনুনে, পায়ের আঙুল থেকে
বেড়ে ওঠে শরীরী উত্তাপ, কখন যে
কেঁপে ওঠে ঠোঁট দুটি অসতর্ক ইঙ্গিতে।
অত্যাধুনিক কবিতার দু-চার পঙ্ক্তি আউড়িয়ে
তরুণেরা কিশোরীর গাল ঠোকে আঙুলে;
কখনো বা নাবালিকার যৌনাঙ্গে হাত রেখে তৃপ্ত হয়ে বলে-
‘মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং তম গমঃ শাশ্বত সমা।’
আপনার মতামত দিন