দীর্ঘ ২২বছর পর আগামী ২৭ জুলাই ঢাকার দোহার পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২৩ জুলাই শনিবার বিকালে দোহার পৌরসভার পশ্চিম বানাঘাটা মৃধা বাড়ি সংলগ্ন ৭নং ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম তার নির্বাচনী প্রচারণার উঠান বৈঠক করছিলেন। এসময় দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও বিলাশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিলাশপুর (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ চোকদারের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের একটি দল এসে নুরুল ইসলামের উঠান বৈঠক পণ্ড করে দেন বলে অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র এই প্রার্থী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম অভিযোগ করে আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে উঠান বৈঠক করছিলাম সেখানে ছাত্রলীগের সভাপতি ও বিলাশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিলাশপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ চোকদারের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের একটি বাহিনী আমাদের উপর হামলা চালায় এবং উঠান বৈঠকটি পন্ড করে দেয়। গণতন্ত্র দেশে এরকম সন্ত্রাসীপনা চলতে পারে না। আমি এর সঠিক বিচার চাই। আগামীদিন নিরাপত্তার সাথে প্রচারণা চালাতে প্রশাসনের সাহায্য এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিলাশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিলাশপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ চোকদার বলেন, আমি কেন তার উঠান বৈঠকে বাঁধা দিবো? উল্টো আমি তার উঠান বৈঠকে সাহায্য করেছি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম আজ তার নির্বাচনী প্রচারণায় দোহারে অবাঞ্চিত বিএনপি নেতা নাজমুল হুদাকে সাথে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করতেছেন। আমরা তার প্রতিবাদ করেছি কিন্তু তার উঠান বৈঠক পণ্ড করি নি।
দোহার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোন প্রার্থী অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।