দোহার-নবাবগঞ্জের ঈদের পার্ট টাইম জব

938

সময়ের সাথে সাথে এগিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সেই সাথে বিক্রি বাড়ছে বিক্রি বাড়ছে বিভিন্ন শপিং মল ও কাপড়ের দোকানের। সারা বছর মোটামুটি বিক্রি থাকলেও রমজানের সময় এই ধাক্কাটা বেড়ে অনেক উপড়ে উঠে যায়।  সারা বছর এক বা দুইজন কর্মচারী থাকলেও রমজানের সময় প্রতি দোকানে নিয়োগ দিতে হয় তিন থেকে পাঁচ জন নতুন কর্মচারী। এই নতুন কর্মচারী হিসাবে কাজ করছে দোহার-নবাবগঞ্জেরই বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।

পশ্চিমে গ্রীষ্মের ছুটিতে বিভিন্ন কাজ করে টাকা সংগ্রহ করে বিদেশে ঘুরতে যাওয়া খুবই প্রচলিত এবং জনপ্রিয় একটি ধারনা। তিনমাস গ্রীষ্মের বন্ধে দুই মাস কাজ করে ঐ টাকা দিয়ে দেশের বাইরে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যায় সেখানকার ছাত্ররা। এই ধারনাটা সেখানে অনেক পুরনো। এবং সিক্সথ বা সেভেন গ্রেডে পরার সময়ই তারা এই কাজ শুরু করে।

আমেরিকাতে এক গবেষনায় দেখা যায়, এ লেভেল শেষ করার আগেই ৭৫ ভাগ ছাত্রছাত্রীর ইউরোপ সফর শেষ হয়ে যায়। এবং সেটা তারা করে নিজের উপার্জন করা টাকাতেই।

বাংলাদেশ আমেরিকার মতো ধনী দেশ না। তাই অন্তত ইউরোপ যাওয়ার চিন্তা এই দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা না করলেও অন্তত আনন্দ তো করতে পারে। মুসলিম প্রধান দেশ হিসাবে অন্যতম প্রধান উৎসব ঈদকে তাই বেছে নিয়েছে এই দোহারের ছেলেরা। ঈদ উপলক্ষে তারা বিভিন্ন দোকানের সেলসম্যানের চাকুরি নিয়ে নিজে যেমন আয় করছে, তেমনি ঈদের হাত খরচও হয়ে যাচ্ছে নিজের কাছ থেকে। এর ফলে বাবা-মা বা বড় ভাইএর মুখাপেক্ষীও হতে হচ্ছে না কাউকে।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জে বিদ্যূতের চাহিদা ৪০ মেগাওয়াট, সরবরাহ ১৫ মেগাওয়াট

আসন্ন রোজার ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের প্রচুর চাপ পরেছে জয়পাড়ার বিভিন্ন শপিং মল ও কাপড়ের দোকানে। এই জন্য প্রতি বছরই নতুন করে সেলস ম্যান নিয়োগ দিতে এই সব শপিং মল ও দোকানে। আর এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই প্রাধান্য থাকে তরুনদের। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয় নি। জয়পাড়া বিভিন্ন শপিং মল ও কাপড়ের দোকানে রমজান উপলক্ষে সেলসম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন এই দোহারের বিভিন্ন স্থানের ছেলেরা। কোন কাজই ছোট নয় এই মন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে এই রমজানে কাজ করে ঈদের শপিং ও ভ্রমনের টাকা তুলে নিচ্ছে এরা।
এমনই একজন, নবাবগঞ্জের রাজাপুর গ্রামের মোঃ আল আমিন। ঈদ উপলক্ষে তিনি বন্ধুর দোকানে সময় দিচ্ছেন। এতে তিনি যেমন আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন তেমনি ঈদের হাত খরচটাও উঠে যাচ্ছে তার।

এমন কয়েকশত মুখ পাওয়া যাবে জয়পাড়া বাজারে। ঈদ মার্কেটিং উপলক্ষে দোকানের চাপ বাড়ার সাথে সাথে কদর বাড়ে এদেরও। তাছাড়া রমজানে পড়াশোনার চাপ কম থাকায় অনেকে শখের বসেও করছেন এই সেলসম্যানের চাকুরী।

আপনার মতামত দিন