বারাকপুরে আনছারের বাহিনীর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতীষ্ঠ

432
বারাকপুরে আনছারের বাহিনীর

খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের সন্ত্রাসী আনছারের বাহিনীর অত্যাচারে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে অতীষ্ঠ। এই বাহিনির প্রধান আনসার সাম্প্রতি জামিনে জেল থেকে বের হয়েছে। বের হয়েই সে আবার তার বাহিনী নিয়ে অস্ত্রবাজী, চাঁদাবাজী, সাধারণ মানুষের জমি, বাড়ি ও দোকান দখল এবং সংখ্যালঘুদের নির্যাতন শুরু করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।

আশিষ ভদ্র নামে বারাকপুর বাজারের এক পানের দোকানদার জানান আনসার জামিনে বের হওয়ার কিছুদিন পর ০৯-১১-২০২০ তারিখে তাকে উচ্ছেদের হুমকি দেয় ও চাঁদা দাবি করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, গত ০১-১২-২০২০ তারিখে আনসারের নেতৃত্বে তার বাহিনীর ইয়াজুল শেখ বারাকপুর ঘাঠের সরকারী জমি দখল করে ভবন তোলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি সরকারী জমি উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করলে আনসার বাধা প্রদান করেন।

তাছাড়া বিগত এক মাসে এই বাহিনী অস্ত্রের মুখে কমপক্ষে ২০ জনের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছে বলে অভিযোগ আছে। এমনকি আনসার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা সম্প্রতি এলাকায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে অভিযোগ করে, আনসারের বাড়িতে সবসময় বোমা ও বন্দুক নিয়ে তার বাহিনীর সস্ত্রাসীরা (লাখোহাটির চার বাড়ির বাবুল শেখ, রসুল শেখ, আবজাল শেখ, আজিবার শেখ, হাকিম শেখ ও তার ছেলে, কুতো বাড়ির শামীম শেখ, বারাকপুরের ইয়াজুল শেখ, আসলাম বিশ্বাস, মিজান শেখ, মনির হাওলাদার, মির্জার ছেলে রাশেদ ও রাছেল শেখ, আনসারের ছেলে তানভির ও মিঠু শিকদারসহ আরো অনেকে) অবস্থান করে। প্রায় রাতে আনসার বাহিনী বন্দুকের গুলি ও বোমা ফাটিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। যার ফলে এলাকার নারী-পুরুষ-শিশুসহ সবাই সবসময় আতংকে থাকে।

অন্য খবর  ঢাকায় আজও আ. লীগ-বিএনপির কর্মসূচি

এলাকাবাসী আরো জানায়, পুলিশ এই বাহিনীর বিরূদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে, পুলিশ সদস্যদের বিরূদ্ধে নারীদের সাথে অশানীল ব্যবহারের মিথ্যা অভিযোগ তুলে নাজেহাল করে।

স্থানীয় নেতা ও আওয়ামীলীগ ওয়ার্ড সভাপতি একলাছ শেখ বলেন, আনসার ও আনসার বাহিনীর সস্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ে GTV ও ASHIN TV সহ একাধিক স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এরা এতটাই বেপরোয়া যে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসন কোন কিছুরই পরোয়া করে না। এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে, তার নামে বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে মিথ্যা সাক্ষী সাজিয়ে মামলা করে।

বারাকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন বলেন, আনসার বাহিনীর অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট। চাঁদাবাজী, দখলবাজী, নির্যাতন ও লুটপাঠ এমন কোনো সন্ত্রাসী কাজ নেই যে এরা করে না। সারকারী চাকুরী, ঘর, ব্যাংক ঝণ দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। চেয়ারম্যান আরো বলেন, তার আপন চাচাতো ভাই সাবেক চেয়ারম্যান, সকলের শ্রদ্ধীয় গাজী হাফিজুর রহমানের পরিবারকেও আনসার তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। অভিযোগের বিষয়ে আনসার শেখের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাকে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

আপনার মতামত দিন