দোহারে বিএনপি’র হামলায় আওয়ামীলীগের ৪ কর্মি আহতের অভিযোগ

726

দোহার উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ অভিযোগ করেছে, দোহারে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারনা শেষে আ’লীগের কর্মিদের উপর হামলায় বিএনপির কর্মিরা আওয়ামীলীগের ৪ জন কর্মিকে পিটিয়ে আহত করলে পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এদের মধ্যে রয়েছে দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান শান্ত। এরা সবাই সালমান এফ রহমানের নির্বাচনী গণ-সংযোগে ছিলো বলে দাবী করেছে দলটি।

দোহার থানার ওসি মো.সাজ্জাদ হোসেন জানান,বুধবার বিকালে উপজেলার করমআলী মোড় এলাকায় ঢাকা-১ আসনে বিএনপি’র প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক তার গাড়ি বহরনিয়ে পালামগঞ্জ – করম আলীর মোড় হয়ে জয়পাড়া জিরো পয়েন্টে এসে নির্বাচন প্রচারনা শেষ করেন।পরে বিএনপির প্রার্থী আশফাক ও তার গাড়ী বহরের লোকজন আ,লীগের কর্মিদের উপর হামলা চালালে পুলিশ খন্দকার আবু আশফাককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন।সংবাদ পেয়ে বিএনপির কর্মিরা উপজেলার করমআলী মোড়ে দুটি মটর সাইকেলে অগ্নি-সংযোগ করেন এবং বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় দোহার থানা পুলিশ ৮জন বিএনপির কর্মি আটক করেছে।

এদিকে, এ ঘটনার পরপর বুধবার সন্ধার দিকে নৌকার প্রার্থী সালমান এফ রহমানের পক্ষে মিছিল বের করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা দাবি করেন, লটাখোলা করম আলী মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা নৌকার প্রার্থীর পক্ষে থাকা দুটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

অন্য খবর  ৪০ টি জেলার চেয়েও বেশি নবাবগঞ্জ উপজেলার করোনাভাইরাস আক্রান্ত সংখ্যা

এই ব্যাপারে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের (দক্ষিণ) সভাপতি গিয়াস উদ্দিন সোহাগ নিউজ৩৯কে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।তখন এই বিএনপি’র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আমাদেরকে রক্তাক্ত করেছে। আশা করছি, প্রশাসন এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। অন্যথায় আমরা উপযুক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলে এর জবাব দিবো।

দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা আমাদের দুই কর্মীর মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মিরা অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্নভাবে পালামগঞ্জ থেকে করম আলীর মোড় হয়ে জয়পাড়া জিরো পয়েন্টে নির্বাচনী প্রচারনা চলছিল।এ সময়ে রতন স্বাধিনতা চত্তরে নির্বাচনী প্রচারনার মিছিলটি আসলে পুলিশ পথরোধ করেন।আমাদের প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাককে গাড়ীবহর থেকে নামিয়ে থানায় নিতে চাইলে কথা কাটাকাটি হয়।এক পর্যায়ে প্রার্থীসহ আরোও ৮জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।এ ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গোটা উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

অন্য খবর  হৃদয় মিয়া-র সাথে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আপনার মতামত দিন