ছিনতাইয়ের মামলায় দোহারের এএসআই মাসুম বিল্লাহসহ আলমগীরের জামিন নামঞ্জুর

1213

প্রায় ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের একটি মামলায় উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের এএসআই আলমগীর হোসেনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। সেই সাথে দোহারের উত্তর শিমুলিয়ার মাসুম বিল্লাহকেও কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রোববার (২৮ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম ও দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক সাজ্জাদুর রহমান শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বলেন, গত ৬ এপ্রিল এ আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওইদিন এ মামলার অপর আসামি মাসুম বিল্লাহ (৪৩) আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এরপর গত ৯ এপ্রিল এ আসামিকে কারাগারে পাঠায় আদালত।

মাসুম বিল্লাহ জবানবন্দিতে বলেছেন, ছিনতাইয়ের সময় এএসআই মাসুম বিল্লাহও তার সঙ্গে ছিলেন এবং ডিবি পরিচয়ে ভিকটিমকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ছিনতাই করা ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকার সমপরিমাণের ইউএস ডলারে মধ্যে ৪ লাখ টাকার সমপরিমানের ইউএস ডলার এএসআই আলমগীর নিয়েছেন মর্মেও বলেছেন।

নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার খাসিয়া মধ্যপাড়ার বাদিন্দা মো. ইলিয়াস (৩০) এ মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন যে, তিনি লতিফ ইম্পেরিয়াল মার্কেটস্থ এইচএস মানি এক্সচেঞ্জের মালিক। গত ৪ এপ্রিল বেলা ৩ টার দিকে তিনি রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন রাজলক্ষী মার্কেটের সামনে গাড়ীর জন্য দাড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ ঢাকা মেট্টো-গ-১৯-০৯৭০ নম্বরের সাদা একটি প্রাইভেট কার তার সামনে থামে। গাড়ি থেকে কয়েকজন লোক নেমে ডিবি পরিচয়ে দিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে। এক পর্যায়ে কালো কাপড় দিয়ে তার চোখ বাঁধে। এরপর তারা বাদির কাছে থাকা মানি এক্সচেঞ্জের ১৮ হাজার ৮শ ইউএস ডলার যার বর্তমান বাংলাদেশের বাজার মূল্য ১৫ লাখ চার হাজার টাকা তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

অন্য খবর  দোহারে বিএনপি নেতার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

ওই সময় বাদী ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে আসামিরা তাদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু উপস্থিত জনতা গাড়ি আটকে মাসুম বিল্লাকে আটক করে এবং অপর চারজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মাসুম বিল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এই ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া আসামি এএসআই আলমগীর হোসেন, জনৈক হাবিব ডলার, রাশেদ ও সুমান বলে জানায়। পুলিশ মাসুম বিল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে বুধবার রাতে এএসআই আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেন।

উল্লেখ্য, রিমান্ডে যাওয়া পুলিশ সদস্য আলমগীর যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানাধীন কৃত্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে স্বীকারোক্তি করা মাসুম বিল্লাহ বাড়ী ঢাকার দোহার থানাধীন উত্তর শিমুলিয়া গ্রামে।

আপনার মতামত দিন