হাজি সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল

168

সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা- ৭ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমেরর ১০ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বিচারিক আদালতের দেয়া তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে পুরান ঢাকার এই আওয়ামী লীগ নেতাকে বিশেষ জজ আদালত-৭ এ আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তার জামিন নামা বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তারা।

এর আগে বিচারিক আদালত দুদকের করা মামলায় দুটি ধারায় হাজী সেলিসকে ১০ বছর ও ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের এই বেঞ্চে হাজি সেলিমের আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। মঙ্গরবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। বিকেল সাড়ে ৪টার আগে রায় ঘোষণা করা হয়। আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং হাজি সেলিমের পক্ষে আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও সাঈদ আহমেদ শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।

অন্য খবর  পুকুরে ভাসছিল আওয়ামী লীগ নেতার লাশ, পরিবারের দাবি হত্যা

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল বিচারিক আদালতের রায়ে হাজি সেলিমের ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানাকরা হয়। এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট হাজি সেলিমের সাজা বাতিল করে রায় দেন। খালাস পান হাজি সেলিম। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। দুদকের করা আপিলের শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টে ওই আপিল (হাজি সেলিমের) পুনঃ শুনানি করতে বলা হয়। এরপর প্রায় পাঁচ বছর ওই আপিলের আর পুনঃ শুনানি হয়নি। এ মামলায় হাজি সেলিম জামিনে আছেন।

আপনার মতামত দিন