সুন্দরবনে পর্যটক বাড়াল পদ্মা সেতু

15
সুন্দরবনে পর্যটক বাড়াল পদ্মা সেতু

সুন্দরবনের পর্যটকদের পদচারণ গত এক বছরে বেশ বেড়েছে। ফলে এই অঞ্চলের পর্যটন নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। বদৌলতে গত এক বছরে সুন্দরবন ভ্রমণে দেশি পর্যটক বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। আর বিদেশি পর্যটক বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। পর্যটকবাহী বিলাসবহুল ভ্রমণতরির সংখ্যাও বেড়েছে। এ খাতে নতুন নতুন বিনিয়োগ আসছে।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সাধারণ সম্পাদক এম নাজমুল আজম বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। বেশি বেড়েছে মোংলা থেকে এক দিনে ঘুরে আসা যায় এমন গন্তব্য, অর্থাৎ করমজল ও হাড়বাড়িয়া স্পটের পর্যটক। সবচেয়ে আশার কথা হলো, কয়েক বছর ধরে কমলেও গত বছর থেকে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।

বিদেশি পর্যটক দ্বিগুণ, দেশি বেড়েছে ৪৫%
২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দেশি পর্যটক ৪৫ শতাংশ এবং বিদেশি পর্যটক বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ২৭৪ জন বিদেশি পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণ করেছেন। এ সময়ে সুন্দরবন ভ্রমণ করেছেন মোট ২ লাখ ১৭ হাজার ১৬৯ জন পর্যটক।

অন্য খবর  অক্টোবরে তফসিল, ডিসেম্বরের শেষে নির্বাচন: সিইসি

এদিকে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে, এমন চিন্তাভাবনা থেকেই সুন্দরবনে নতুন করে চারটি পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। বনের জীববৈচিত্র্য ও সার্বিক পরিবেশ সুরক্ষায় জোর দিয়ে এই কেন্দ্রগুলো করা হয়েছে। এতে পর্যটকেরা এক জায়গায় ভিড় না করে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সুন্দরবন দেখার সুযোগ পাবেন বলে জানান সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান আবদুল হারুন চৌধুরী বলেন, ‘সুন্দরবনে পর্যটক বেড়েছে। এটি অবশ্যই এই অঞ্চলের অর্থনীতি তথা ব্যবসার জন্য ইতিবাচক ব্যাপার। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, যাঁরা সুন্দরবনে পর্যটক হিসেবে যান, তাঁরা সেখানকার প্রতিবেশ রক্ষার সাধারণ নিয়মগুলো মানেন না। এটি বনের জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।’

আপনার মতামত দিন