রবিবার সদরঘাটে পুনরায় খেয়াঘাট চালুর জন্য কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীর ব্যবসায়ী ও নৌকার মাঝিরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে। বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট সংলগ্ন খেয়া পারাপারের তিনটি ঘাট বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে গত শনিবার এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কেরানীগঞ্জে কালিগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীর হাজার হাজার ব্যবসায়ী তাদের দোকান ও গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ করে রাস্তায় নেমে আসে। এ ঘাট তিনটি দিয়েই ব্যবসায়ীরা গার্মেন্টস সামগ্রী কেনার জন্য গার্মেন্টস পল্লীতে আসে। এছাড়া হাজার হাজার নৌকার মাঝি বেকার হয়ে যাওয়ায় মাঝিরাও বিক্ষোভ মিছিল করে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে এ ঘাট তিনটি বন্ধ করে দিয়ে সেখানে জাহাজ ভেড়ানোর জন্য পন্টুণ স্থাপন করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ’র লোকজন। এছাড়া ওইসব ঘাট দিয়ে পারাপারের লোকজনের জন্য পাশ্ববর্তী গরমহল পণ্টুন থেকে ওপারের নবাববাড়ি সংলগ্ন বাদামতলী এলাকায় স্থাপিত পন্টুনে পারাপারের জন্য দুটি ওয়টার বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছেন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এতে করে বিপাকে পড়েছে ওইসব ঘাট ব্যবহারকারি পথচারি-ব্যবসায়ী ও নৌকা মাঝিরা।
এসময় বিক্ষোভকারীরা এসকল খেয়াঘাট খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র এ ধরনের কর্মকান্ডের বিরোধিতা করে বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্রতিবাদ মিছিল করেন। তারা স্থানীয় সাংসদ বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের হস্তক্ষেপ ও সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী মো.মুসলিম ঢালী বলেন, লঞ্চ মালিকদের গাফলতি ও অপরিকল্পিত ভাবে বিভিন্ন স্থানে লঞ্চ নোঙ্গর করার কারনে নৌ দুর্ঘটনা ঘটে। পরিকল্পিত ভাবে টার্মিনালে লঞ্চ নোঙ্গর করলে ও ছেড়ে গেলে কোন দুর্ঘটনা ঘটবেনা। একটা মহল এখানকার গার্মেন্টস ব্যবসা ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে। এ ঘাট তিনটি বন্ধ হলে এখানকার গার্মেন্টস ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাবে। ঐতিহ্যবাহী এসব নৌকা ঘাটকে বাঁচিয়ে রেখে এলাকার ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, যে ঘাট দিয়ে ওয়াটার বাস সার্ভিস চালু হয়েছে সে সব ঘাটের সাথে আমাদের ব্যবসায়ীদের কোন সম্পৃক্ততা নাই। তাছাড়া ওয়াটার বাসে শুধু যাত্রীই পারাপার হতে পারে। মালামাল সমেত আমাদের ব্যবসায়ীরা পারাপার হতে পারবে না।
বিআইডাব্লউটিএ এর যুগ্ন পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, এখানে একাধিকবার নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর যেন নৌ-দুর্ঘটনা না ঘটে, তাই আমরা জনসাধারানের জান মালের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।