শেরপুরে বাঁধ ভেঙে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

24
শেরপুরে বাঁধ ভেঙে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

শেরপুরের ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভারি বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীর বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে কমপক্ষে ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়াও নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লা খালি নদী প্লাবিত হয়ে আরও ৫০ গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে।

গত শুক্রবার ভোর থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে এবং নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল থেকেই মহারশি নদীতে পানি বেড়েছে। গভীর রাত থেকেই বেশ কয়েকটি স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। এরপর পানি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়। এতে ঝিনাইগাতি সদর, ধানশাইল, মালিঝিকান্দা ও হাতীবান্ধা ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।

এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, কৃষি অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ও বাড়িঘরেও ঢুকে পড়েছে পানি। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করাই ভোগান্তি পড়েছে হাজারো মানুষ। এছাড়া ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বিস্তীর্ণ ৪ হাজার ২০০ হেক্টর আমনের জমি।

অপরদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার ৮ ইউনিয়ন নয়াবীল, রামচন্দ্রকুড়া, বাঘবের নালিতাবাড়ী সদর ইউনিয়নসহ এই আট ইউনিয়নের ৫০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

অন্য খবর  এইচএসসির ফলাফল নিয়ে যা জানাল মন্ত্রণালয়

ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার জানান, ঝিনাইগাতীতেই এ পর্যন্ত ৪ হাজার ২শ হেক্টর জমির আমন আবাদ ঢলের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া ১হাজার হেক্টর সবজি আবাদ পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, আমরা পানবন্দি এলাকা পরিদর্শন করছি। যারা নদীর তীরবর্তী এলাকায় আটকে পড়েছে তাদের উদ্ধার করা হচ্ছে। এছাড়া শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পানি কমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হবে।  তবে নালিতাবাড়ীর ৮টি ইউনিয়নের ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত দিন