আসাদ/সুমন /ফয়সাল: শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা জেলা বিএনপি’র সভাপতি জননন্দিত নেতা খন্দকার আবু আশফাক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ নবাবগঞ্জ উপজেলার শেখ রাকিবের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। পরিবারের খোজ খবর নিয়ে, তিনি আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র- জনতার আন্দোলনে মিছিলরত অবস্থায় গত ১৯শে জুলাই আনুমানিক বিকাল ৫ ঘটিকায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে পুলিশ- ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগের গুলিতে শহীদ হন শেখ রাকিব।
খন্দকার আবু আশফাক অশ্রুসজল চোখে বলেন, আমরা এই বাংলাদেশ পেয়েছি শহীদদের আত্মত্যাগে। রাকিবের মতো এইরকম শহীদ পরিবারের পাশে বিএনপি দাঁড়াবে। রাকিবের পরিবারের দায়িত্ব আমাদের। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকারীরা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে, এখন আমাদের দায়িত্ব এই দেশকে পুনর্গঠন করা।
শেখ রাকিবের গ্রামের বাড়ী নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের কামারখোলা গ্রামে। সে মো: মিজানুর রহমান ওরফে হুমায়ুন কবির ও সুইটি বেগমের জেষ্ঠ্য পুত্র। পুলিশ গুলিতে রাকিবের বুক ও গলা ঝাজরা হয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাকিবকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত ডা: তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনদিন রাকিবের লাশ কুর্মিটোলা হাসপাতালে পরে থাকার পর ২১জুলাই শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে ময়না তদন্ত শেষে ঐ দিন রাতেই রাকিবের গ্রামের ঠিকানায় তার লাশ দাফন করা হয়। হতদরিদ্র শহিদ রাকিবের পরিবারে রয়েছে মাতা ও তার দুই ভাই। বর্তমানে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। ২০ বছর আগে, রাকিবের বাবা একাধিক বিয়ে করায় পরিবারের সাথে নেই কোন যোগাযোগ। তার মা বর্তমানে গাজীপুরে গার্মেন্টসে কর্মরত। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে রাকিবকে হারিয়ে ছেলে হত্যার বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে তার পরিবার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ আল মামুন ও নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ খন্দকারসহ চূড়াইন ইউনিয়ন বিএনপি’র অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।