রাষ্ট্রীয় সুবিধা নয় স্বীকৃতি চায় মুক্তিযোদ্ধা আঙ্গুরের পরিবার

417

 

 

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন ২নং সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশারফ কর্তৃক নিযুক্ত গ্রুপ কমান্ডার ও পরবর্তী সময়ে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শওকত হোসেন আঙ্গুরের পরিবার চায় তার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। ১৯৭৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে দুষ্কৃতকারীরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শওকতকে হত্যা করে বলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্র জানায়।

স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর পিতার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান শওকতের একমাত্র সন্তান মোর্শেদুল হাসান রতন। উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের আন্ধারকোঠা গ্রামে তার পৈত্রিক বাড়ি।

প্রবাসী মোর্শেদুল হাসান রতন জানান, স্বাধীনতার পর দেশগঠন ও মানুষের জন্য বাবা নিবেদিত কর্মী ছিলেন। কিš’ দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, ১৯৭৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কতিপয় দুষ্কৃতকারী বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করে। আমি রাষ্ট্রীয় কোনো সুবিধা চাইছি না। শুধু, বাবা যে দেশের মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তার স্বীকৃতি চাই।

নবাবগঞ্জের আগলা গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ (দারু) জানান, নবাবগঞ্জ থানাকে পাক-হানাদার মুক্ত করতে ’৭১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শওকত হোসেন ও তার সহযোদ্ধারা ইছামতি নদীর গালিমপুর, আগলা ও চুড়াইনের উত্তর-পূর্ব বাঁকে আমাদের সঙ্গে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, যা নবাবগঞ্জ অঞ্চলে গালিমপুরের যুদ্ধ নামে পরিচিত। এ যুদ্ধে বেনুখালী গ্রামের রহিম নামে এক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জের তিন সেতুতে বাতি জ্বলে না!

 

নবাবগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শাহ্ আবু বক্কর সিদ্দিকী আবু জানান, কোমরগঞ্জ, বক্সনগর ও চুড়াইনসহ নবাবগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্তে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন শওকত হোসেন আঙ্গুর। তিনি বলেন, তার নাম রাষ্ট্রীয়ভাবে গেজেট করানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।

আপনার মতামত দিন