অতি মেধাবীদের আইকিউ লেভেল বেশ উঁচুতে। এ কারণে জীবনের প্রায় সবক্ষেত্রেই তারা সফল হয়। তবুও এসব মেধাবীরা জীবনব্যাপী প্রায় অসুখীই থেকে যায়। কিন্তু কেন? আসুন জেনে নিই-
১. জীবনের প্রতিটি বিষয়কে সূক্ষাতিসূক্ষভাবে বিশ্লেষণ করে দেখে মেধাবীরা। যেকোনো পরিস্থিতির সাথে স্বাভাবিকভাবে খাপ খাওয়াতে তারা পারে না, বরং সেই পরিস্থিতিকে নিজের অনুকূলে নিতে চেষ্টা করে, যা তার জন্য মাঝেমধ্যে পীড়াদায়ক হয়ে ওঠে। এই অতিরিক্ত চিন্তা ও পরিস্থিতি অনুকূলে নেয়ার প্রবণতায় সবকিছু তারা অর্জন করলেও, সুখী হতে পারে না।
২. নিজেদের মানকে মেধাবীরা অনেক উঁচুতে তুলে রাখে। তারা জানে তারা কি চায়, কি অর্জন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে, কোনো বিষয়ে ছাড় দেয়ার প্রতি অনাগ্রহ দেখা যায়।
৩. মেধাবীরা নিজেরাই নিজেদের বড় সমালোচক। নিজেদের অর্জন, আচরণ নিয়ে সর্বদাই তারা অতিরিক্ত বিশ্লেষণ করে। ফলে, তারা কখনোই নিজেদের অর্জন নিয়েও সুখী হতে পারে না।
৪. মেধাবীরা সর্বদাই জীবনের অর্থ খুঁজতে চেষ্টা করে। ছোট ছোট বিষয়গুলো থেকে তৃপ্ত হয় না তারা। তারা এটাও বুঝতে পারে না যে, জীবন সবসময়ই সবকিছু দেবে না।
৫. মেধাবীরা প্রায়শই অন্যদেরকেও নিজেদের সমকক্ষ ভাবে, যা সবসময় নাও হতে পারে। ফলে মেধাবী ব্যক্তি তার মতো করে চলতে পারাদের খুঁজে বেড়ায়। না পাওয়া গেলেও তারা একাকিত্ব বোধ করে।
৬. মেধাবীদের অনেকেই মানসিক সমস্যায় ভোগে। উদ্বেগ, বাইপোলার সিন্ড্রোমের মতো মানসিক সমস্যা উচ্চ আইকিউ থাকা মানুষদের মধ্যে প্রবল।