কুসুমহাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের কোলে ছেলের মৃত্যু

887

মো: জাকির হোসেন ♦ গত ২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪টায় দোহার থানার কুসুমহাটি ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়া গ্রামে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় শাকিল শরিফ নামে ৪ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ছেলেটির বাড়ি সুন্দরীপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম জসিম শরিফ।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফারুক শরিফ নিউজ৩৯ কে জানান নিহত শিশু শাকিল শরিফ তার ভাই-বোন ও মায়ের সাথে বিকাল ৪ টার দিকে নানার বাড়ির উদ্দেশ্যে রাস্তা দিয়ে যাবার সময় সুন্দরীপাড়া বটতলা থেকে ২০ গজ আগে চিনি বহনকারী নসিমনের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে নিহত শাকিল রাস্তায় পড়ে যায়। এর ফলে  নসিমনের পিছনের চাকা শাকিলের গলার উপর দিয়ে চলে যায়। শাকিলের মা দ্রুত গিয়ে তার সন্তানকে কোলে নিতে গেলে বোঝা যায় ঘটনার মর্মান্তিকতা। শাকিলের দেহটি তার মা কোলে তোলে নিলে ধর থেকে মাথাটি ঝুলে পড়ে।মৃত্যু ঘটে শাকিলের। এতে শাকিলের মা চিৎকার দিয়ে উঠে।

নসিমন গাড়ী

ছবি: এই গাড়ীটির সাথে সংঘর্ষের ফলে ঘটে দূর্ঘনটা

 

শাকিলের মার চিৎকারে চারপাশের মানুষ এগিয়ে আসে। শাকিলের লাশ দেখে কেউ চোখের জল ধরে রাখতে পারেন নি। দূর্ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়লে চারদিক থেকে নারী-পুরুষ, শিশু –যুবক সহ শত শত মানুষ আসতে থাকে দূর্ঘটনাস্থলে।

অন্য খবর  মা ইলিশ রক্ষায় দোহারের নদীতে অভিযান|

দূর্ঘটনার কারন জানতে পেরে এলাকাবাসী রাগে ফুসে উঠে। এর পর কুসুমহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব দোহারি পুলিশকে খবর দেন ও দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

পুলিশ এসে সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিয়ে এলাকাবাসীকে আশ্বাস্থ করেন; এবং কোন রকম অপ্রিতিকর কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেন।

রাস্তায় জনতার ভীড়ের কারনে প্রায় দুই ঘন্টা যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। তবে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নি। জনতা গাড়ীটিকে আটক করে। তবে এর চালককে আটক করতে পারে নি। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় দূর্ঘটনার সাথে সাথেই নসিমনের চালক গাড়ী রেখে পালিয়ে যায়। নসিমনে ৩০ বস্তা চিনি ছিল যার প্রতি বস্তার ওজন ৫০ কেজি।

খবর লেখা পর্যন্ত চালকের নাম, গাড়ীর মালিক বা চিনির মালিক কারো সম্পর্কেই কোন খবর পাওয়া যায় নি। আটককৃত গাড়ী ও চিনি কুসুমহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

মর্মান্তিক এই সড়ক দূর্ঘটনার কথা জানতে পেরে দোহার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলী আহসান খোকন শিকদার ঘটনা স্থলে যান ও শাকিলের পরিবারকে সান্তনা দেন।

মর্মান্তিক এই সড়ক দূর্ঘটনার ফলে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও দুঃখ বিরাজ করছে। সবাই ব্রেক বিহীন ও জরুরী সময়ে নিয়ন্ত্রণের অযোগ্য এই নসিমন গাড়ী বন্ধের জন্য সরকার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগের জন্য আবেদন করেন। সেই সাথে এলাকাবাসী এই কাজে পুলিশের হস্থক্ষেপ কামনা করেন। পুলিশও নসিমন গাড়ী বন্ধে সবাইকে সচেতন হবার জন্য আহ্বান জানান।

আপনার মতামত দিন