মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ রোববার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এক বিজয় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে না ফেরার কারণে সেটি দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয়।
উক্ত বিজয় শোভাযাত্রা শেষ হলে, ঢাকা-১ আসনের বিএনপি’র প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক বলেন, বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলক আসম আব্দুর রব, সংবিধান রচয়িতা ড. কামাল, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বীর বিক্রম অলি আহমেদ, বীর প্রতীক ইব্রাহীম, বীর উত্তম শহীদ প্রেসিডেণ্ট ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক জিয়াউর রহমানের দলকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে। এই নির্বাচন খালেদা জিয়ার মুক্তির নির্বাচন। মরবো কিন্তু নির্বাচন থেকে সরবো না।
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই বিজয় দিবস হওয়া উচিত ছিল আনন্দের, উৎসবের। ৪৮তম এই বিজয় দিবসে আমাদের আনন্দিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজকে অত্যন্ত ভারাক্রান্ত, আতঙ্কিত, উৎকণ্ঠিত—এই দেশে গণতন্ত্র টিকে থাকবে কি টিকে থাকবে না। নির্বাচন কমিশন যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে, সেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। নির্বাচনে সব রকমের পক্ষপাতিত্ব শুরু করেছে সরকার। আমরা কখনো এ ধরনের নির্বাচন দেখিনি। নজিরবিহীনভাবে সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মী এমনকি প্রার্থীদেরও গ্রেপ্তার করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে এবং সবভাবে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, এই নির্বাচন দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে যে বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরতন্ত্রে থাকবে, নাকি গণতন্ত্রে থাকবে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতার ফল ভোগ করবে কি ভোগ করবে না। বাংলাদেশের মানুষ নির্যাতিত হয়ে একটি ‘স্বৈরতন্ত্রের’ মধ্যে, একটি ‘একদলীয়’ শাসনব্যবস্থার মধ্যে যাবে, নাকি বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের দিকে যাবে; এই বিষয়গুলো আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে, বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াকে এই ‘অন্যায়’, ‘অত্যাচার’, ‘অবিচার’ থেকে তাঁকে মুক্ত করা সম্ভব হবে কি না।