বেতন পরিশোধ না করায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ

18

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বেতন বকেয়া থাকায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৮ জুন) সকালে পৌর এলাকার এমএম ওসমান মডেল স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ভাঙ্গা থানার পাশে অবস্থিত এমএম ওসমান মডেল স্কুলটি দীর্ঘদিন যাবৎ পাঠদানের অন্তরালে কোচিং বাণিজ্য করে আসছে। ভাঙ্গায় অবস্থিত বিভিন্ন স্কুলে সঙ্গে আঁতাত করে এসব স্কুলের নামে রেজিস্ট্রেশন দেখিয়ে ৪-৫ শত শিক্ষার্থীকে নিয়মিত কোচিং এর মাধ্যমে  প্রতিষ্ঠানটি পাঠদান করত।

বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে দেরি হওয়ার অপরাধে  শিক্ষার্থীদেরকে বাঁশের লাঠি, বেত ও পা দিয়ে লাথি মেরে আহত করা হয়। শিক্ষার্থীদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে স্কুল থেকে পালিয়ে যায় শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষ। আহত উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকগণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন সহ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দিনের কাছে লিখিত অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়। এ সময় আহত শিক্ষার্থীরা তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের চিহ্ন প্রশাসনকে দেখায় এবং অনতিবিলম্বে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়।

এর আগেও উক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়মিতভাবে সরকারি বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছালে প্রশাসনের ভেতরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সে সময় তৎকালীন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়। তারপরেও  বীরদর্পে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটির মালিক ওসমান। এসব কোচিং বাণিজ্যে শিক্ষার্থীদের শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে পাস করানোর প্রলোভন দেখিয়ে শত শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিত লাখ লাখ টাকা।

অন্য খবর  দেরিতে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝুঁকি বাড়াচ্ছে

বিষয়টি শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা সত্যতা পেয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। আহত অনেক শিক্ষার্থী স্থানীয় ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে স্কুলের কর্ণধার ওসমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত দিন