সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপায় সমুদ্র রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তবে ইউরোপা নিয়ে আরো চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছেন বলে তারা জানান, খুব শিগগিরই বিশ্বকে চমকে দেবেন তারা।
সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ইউরোপা নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করবেন নভোচারীরা। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ইউরোপার পৃষ্ঠেও সমুদ্র থাকতে পারে।এসময় নাসার জ্যোতিঃপদার্থবিদ্যার পরিচালক পল হার্টজ ও স্পেস টেলিস্কোপ সাইন্স ইনস্টিটিউট এর জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম স্পার্কস উপস্থিত থাকবেন।
পাঁচ বছরের যাত্রার পর বৃহস্পতিতে পৌঁছায় নাসার মহাকাশযান জুনো। জুনো প্রকল্পের প্রধান স্কট বল্টন বলেন, ‘বৃহস্পতির দক্ষিণমেরুতে আমরা এমন কিছু দেখেছি যা কখনো ভাবতেও পারিনি।’
এর আগে জানানো হয়েছিল, বৃহস্পতির উপগ্রহ ‘ইউরোপা’-য় পাওয়া যে রহস্যজনক ঘন পদার্থ নিয়ে গবেষণা চলছিল তা আসলে সাগরের পানিতে থাকা লবন। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মহাকাশের অন্য গ্রহে জলের অস্তিস্ব থাকার বিষয়টি আবারো সামনে চলে আসে।
‘লাল গ্রহ’মঙ্গলে ইতিমধ্যেই পানির অস্তিত্ব ছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে। এবার সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহের উপগ্রহেও পানির, সর্বোপরি প্রাণের অস্তিস্ব রয়েছে কিনা, নাসার ঘোষণা এরকম দাবিকেই উসকে দিল।
নাসার বিজ্ঞানী কার্ট নিইবার বলেছিলেন, ‘বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপা নিয়ে আমাদেরও নানা প্রশ্ন রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, সেখানে কি প্রাণের অস্তিস্ব রয়েছে?” তাঁর মতে, এই ধরনের গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন তথ্য সামনে এলেই মহাকাশে আর কোথাও প্রাণের অস্তিস্ব রয়েছে কিনা তা জানা সম্ভব হবে।
নাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক দশক ধরে বৃহস্পতির উপগ্রহ ‘ইউরোপা’ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে গিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
২০১১ সালের ৫ আগস্ট যাত্রা শুরু করে জুনো। এরপর চলতি বছরের জুলাইয়ের ৪ তারিখ তা বৃহস্পতিতে পৌঁছায়।
আপনার মতামত দিন