বিক্ষোভে তিনশত মানুষের নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ইরানি জেনারেল

25

দেশব্যাপী বিক্ষোভকে ঘিরে অস্থিরতায় ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে হওয়া হতাহতের ঘটনায় এটি প্রথম সরকারি বক্তব্য (সোমবার) ইরানি একজন জেনারেল এ কথা তিনি স্বীকার করেছেন

এই অনুমানটি ইরানের মানবাধিকার কর্মীদের দ্বারা রিপোর্ট করা সংখ্যার তুলনায় যথেষ্ট কম। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এই দলটি ১৬ সেপ্টেম্বর দেশটির নৈতিকতা পুলিশ কর্তৃক বন্দি তরুণীর মৃত্যুর পর শুরু হওয়া বিক্ষোভ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

সক্রিয়কর্মীর দলটি বলছে,দেশে অস্থিরতার শুরু থেকে ৪৫১ জন বিক্ষোভকারী এবং ৬০ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছে এবং ১৮ হাজার ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

জানা যায় ,ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির পোশাক সংক্রান্ত কঠোর নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর কারণে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত এই বিক্ষোভ ইরানের ধর্মতন্ত্রকে উৎখাত করার আহ্বানে পরিণত হয় এবং ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে ইরানের শাসক ধর্মগুরুদের জন্য এটি সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৭৯ সালের বিপ্লব তাদেরকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে।

আধাসামরিক বিপ্লবী গার্ডের মহাকাশ বিভাগের কমান্ডার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ গার্ডের ঘনিষ্ঠ একটি ওয়েবসাইটকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে যার মধ্যে বেশ কিছু “শহীদ” রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী যে সদস্যরা নিহত হয়েছেন তাদেরকে শহীদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্য খবর  নির্বাচন নিয়ে মেননের বক্তব্যের বিষয়ে দেওয়া ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট ১৪ দল

বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভে গণমাধ্যমের সংবাদ সংগ্রহের ব্যাপারটি ব্যাপকভাবে সীমিত করে দিয়েছে।

ইরানি বিক্ষোভ এখন তৃতীয় মাসে গড়াচ্ছে, ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী গোলাবারুদ, রাবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে নির্মম হামলা চালানো সত্ত্বেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

সম্প্রতি তাই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল যে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন প্রতিষ্ঠার পক্ষে ভোট দিয়েছে এবং ইরান সেটির সাথে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করেছে।

আপনার মতামত দিন