ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদ বারুয়াখালীর রতনপুর গ্রামে, দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী (৩৬) -কে জোর পূর্বক দেবর মো. এবাদত (৪০) এর বিরুদ্ধে, ধর্ষণ ও প্রাণনাশের অভিযোগ উঠেছে। সে ওই গ্রামের কলিমুদ্দিন কালার ছেলে।
প্রবাসীর স্ত্রী অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে ধর্ষক এবাদত ২৬ মার্চ তাকে হত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনা জানতে পেরে বারুয়াখালী ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার, রোকসানা বেগম গণমাধ্যমকে জানায়। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ প্রবাসীর স্ত্রী জানান, তার পাশের ঘরে দেবর এবাদত পরিবার নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত বসবাস করছিলো। গত ১৫ নভেম্বর রাত ৯ টায় এবাদত তার ঘরে প্রবেশ করে ও জোর পূর্বক তার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। পরবর্তী সময়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধীকার বার যৌন হয়রানি করে বলে জানান তিনি।
এলাকাবাসী জানায়, গৃহবধুর স্বজনরা এ ঘটনা জানতে পেরে তাকে ২৬ মার্চ উপজেলার বান্দুরা মর্ডান ক্লিনিক এন্ড ডায়াগননিষ্টক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করায়। তখন তারা জানতে পারে নির্যাতিত নারী ১৫ সপ্তাহ ৪ দিনের গর্ভবর্তী।
এবাদত অন্তঃসত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে, ২৬ মার্চ বিকালে গোপনে গৃহবধুকে ডেকে রতনপুর ইছামতি নদীর তীর সংলগ্ন সুনিলের বাগানে নিয়ে যায়। এসময় জোর পূর্বক তার হাত পা বেধে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় গৃহবধুকে তার নিজের প্রাণ বাঁচাতে বাধা দিলে, শরীরে বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত জখম হয়। তার চিৎকারে আশে পাশে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে, ঘটনা স্থল থেকে ধর্ষক এবাদত দৌড়ে ইছমতি নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে এবং স্থানে পালিয়ে যায়।
করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায়, সে বিষয়টি ওই সময় থানা পুলিশকে জানাতে পারেন নি বলে জানায় ধর্ষিতা নারী ও তার স্বজনরা।
এবিষয়ে দোহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার(এ.এসপি) জহিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করছে।