বান্দুরায় আদালত উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্ঠা

606

ঢাকার নবাবগঞ্জের নতুন বান্দুরা গ্রামে বিচারাধীন একটি জমিতে রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণ করে দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার গভীর রাতের স্থানীয় মো. আনোয়ার হোসেন তার লোকজন নিয়ে এ ঘটনা ঘটায় বলে স্থানীয়রা জানান। জমিটি নিয়ে একই গ্রামের ফজলুর রহমান গংদের সাথে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে মামলা চলছিল।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নতুন বান্দুরা মৌজার আরএস ২২৫নং দাগে ২.৫০ শতাংশ ও ৩২৮নং দাগের ২৪ শতাংশ, মোট সাড়ে ২৬ শতাংশ জমি নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে নতুন বান্দুরা গ্রামের ফজলুর রহমান গংদের সাথে একই এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনদের সাথে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে মামলা চলছিল (দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-২৫৬৯/২০০৮)। গত ৮মার্চ আদালত মো. আনোয়ার হোসেনের পক্ষে ডিগ্রি প্রদান করেন। সেই ডিগ্রির বিরুদ্ধে ফজলুর রহমান গং জেলা জর্জ আদালতে আপিল করেন (১৬৯/১৬) যাহা এখনো বিচারাধীন। এরমধ্যে ফজলুর রহমান গং এর পক্ষে তার ভাই আবুল হাসেম বাদী হয়ে গত ১৩ মার্চ ফের ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৫ ধারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি পিটিশন মামলা করেন। মামলা নং- ৮৮/২০১৬ (নবাবগঞ্জ)। এব্যাপারে গত ৮জুন এর মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এবং দখল প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে আদেশ দেন আদালত। সেই মোতাবেক বাদী-বিবাদীকে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ দু’পক্ষকে লিখিত নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু সোমবার গভীর রাতের আদালতের আদেশ অমান্য করে ঐ জমিতে ঘর নির্মাণ করে আনোয়ার হোসেন গং। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফজলুর রহমান গং প্রায় ৩৭ বছর ধরে ঐ জমিতে ভোগদখলে রয়েছেন।

অন্য খবর  রাষ্ট্রীয় সুবিধা নয় স্বীকৃতি চায় মুক্তিযোদ্ধা আঙ্গুরের পরিবার

স্থাপনা পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী মো. রফিক বলেন, আমি ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি এই সম্পত্তি ফজলুর রহমানদের। ওনারাই এই সম্পত্তি ভোগ দখলে আছেন। গতকাল সন্ধ্যায় জমিটি খালি দেখেছি। কিন্তু আজ সকালে দোকানে এসে দেখি সেখানে একটি টিনের ঘর। যা দেখে হতচকিত হয়ে গেছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল রাজ্জাক বলেন, গতকাল পর্যন্ত জায়গাটি খালি দেখেছি। শুনেছি জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। তাই হয়তো প্রতিপক্ষের দখল দেখাতে চুপিসারে ঘর তুলেছে। এব্যাপারে আনোয়ার হোসেন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আদালতের ডিগ্রি পেয়েছি তাই ঘর নির্মাণ করেছি। তবে রাতের আঁধারে কেন নির্মাণ করলেন এ প্রশ্নের তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি সায়েদুর রহমান বলেন, কেউ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত দিন