বান্দুরায় অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ অগ্নিদগ্ধ ৫

299

নবাবগঞ্জ উপজেলার নতুন বান্দুরা বাজারে আগুন লেগে ৯ টি দোকান ও বসত ঘর পুড়ে গেছে। মামুনের জ্বালানী তেলের দোকান থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। অগ্নিকান্ডে হাসি (৩০), রতন চন্দ্র দাশ (৩০), নুরুল হক (৩২), গোপাল চন্দ্র দাশ (৩৫) ও রতন চন্দ্র দাশে মেয়ে পূর্ণিমা (৫) সহ ৫ জন দগ্ধ হয়। অগ্নিদগ্ধ ৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে যানা গেছে, শনিবার দুপুর ১টায় নতুন বান্দুরা বাজারে মামুনের (পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেন) দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুন  পার্শ্ববর্তী শামিমের চালের দোকান, রতনের হোটেল, কাবেলের কস্মিটিকের দোকান, রফিকের বসত ঘড়সহ আশেপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা ২ ঘন্টা ধরে মাটি ও বালু দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এসময় ব্যবসায়ীরা কেরাণীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ২ ঘন্টা পরে ফায়ার সার্ভিস দল ঘটনাস্থলে পৌছলেও ততক্ষণে তেলের গুদাম, হোটেল, চালের দোকান, বসত ঘড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্থাপনাসহ আগুনে পুড়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।

অন্য খবর  পদ্মা বাঁধ দখল করে ইট-বালুর ব্যবসা

কেরাণীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সানোয়র হোসেন জানান, তেলের দোকানের ভিতর কারো ফেলে যাওয়া সিগারেট থেকে আগুনের সূত্র ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক, উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার, বান্দুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিল্লাল মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসা খরচ এবং উপজেলা পরিষদ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের ব্যবস্থার আশ্বাস দেন।

এসময় স্থানীয়রা প্রশাসনের নিকট ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের জোর দাবি করেন।

আপনার মতামত দিন