আর মাত্র দুদিন বাকি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব বড়দিনের। এ সময়ে গোটা ফিনল্যান্ড সাদা বরফে ঢেকে থাকার কথা। কিন্ত এবার ফিনল্যান্ডবাসী বঞ্চিত হতে যাচ্ছে হিমশীতল তুষারমণ্ডিত বড়দিনের উৎসব থেকে। তাই ফিনিশবাসীদের মন ভালো নেই। রাজধানী হেলসিংকিসহ এখনকার বড় শহরগুলোতে এখনো তাপমাত্রা ৭-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বড়দিনকে সামনে রেখে ২৪ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় ফিনল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর তুর্কুর ঐতিহাসিক ব্রিংকালা ভবনের অলিন্দ থেকে ক্রিসমাসের শান্তি ঘোষিত হবে। এরপর এখান থেকে শুরু হয় ব্যতিক্রমী এক অভাবনীয় শোভাযাত্রার। তুষার মানুষ, ক্রিসমাস ট্রিসহ নানা অদ্ভুত সাজে সেজে বড়দিনকে স্বাগত জানানোর জন্য এই আয়োজনে অংশ নেয় প্রায় বিশ হাজার লোক। ফিনল্যান্ডের তুর্কু শহরে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বড়দিনের এই ব্যতিক্রমী আয়োজন শুরু হয়েছে, এরপর থেকে প্রতি বছরই এই উৎসবের রেওয়াজ অব্যাহত আছে।
চলতি মাসের শুরু থেকেই বর্ণিল সাজে এখানকার বিভিন্ন শহরে মনোলোভা আলোকসজ্জা করা হয়েছে। শহরগুলোর কেন্দ্রে ক্রিসমাস ট্রি বসানো হয়েছে। প্রায় প্রতিটি শহরেই বসেছে বড়দিনের বিশেষ বাজার। দোকানপাট, বাড়ির আঙিনা, কাচের জানালায় শোভা পাচ্ছে বর্ণিল আলোকসজ্জা। গির্জাগুলোকে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে। বাহ্যিক প্রস্তুতির পাশাপাশি মনকে শুদ্ধ করে আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিও নিয়েছেন ধমর্গুরুরা।
গত সোমবার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য বড়দিন ও নববর্ষ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
পবিত্র এই সন্ধ্যায় ফিনিশরা নিজেদের ঘরে ঘরে ক্রিসমাস ট্রিকে নানাভাবে সাজিয়ে তার নিচে প্রিয়জনের জন্য উপহার জমিয়ে রাখবে আর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আপনজন ও শিশুদের মাঝে বিলি করবে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই শহরের কেন্দ্র এবং বাজার এলাকায় সান্তাক্লজ থলে থেকে শিশুদের মধ্যে উপহার বিতরণ করছেন।