সালমা ইসলাম ও টিএনও সুপরিকল্পিত ভাবে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি বাদ দিয়েছে- আব্দুর রহমান আকন্দ

448

টিওএনও ও জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম সুগভীর চক্রান্তের মাধ্যমে আজকের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের ব্যানার থেকে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দোহার উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান আকন্দ। তিনি অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীদের দ্বারা সাধারন মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার ও অভিযোগ করেন।

দোহারে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে দাওয়াত পান নি স্থানীয় রাজনীতির দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা মান্নান খান ও মাহবুবুর রহমান। এই নিয়ে আগে থেকেই উত্তেজিত ছিল দোহারের আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। এর ভিতরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির ব্যানারে শেখ মুজিবর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় ক্ষিপ্ত হয় আওয়ামী লীগ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আব্দুল মান্নান খান যুবলীগের নেতাকর্মী পরিবেষ্টিত হয়ে অনুষ্ঠানে  হাজির হন এবং বক্তব্য শুরু করলে তিনি ব্যানারে শেখ মুজিবর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি না থাকার ব্যাপারটা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে যুবলীগের নেতাকর্মীরা মঞ্চে উপস্থিত হয়ে ব্যানার ছিরে ফেলেন। এই ব্যাপারে যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান আকন্দ বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে এমন এক জনের ছবি নাই যে না জন্মালে দেশই জন্মাতো না। এটা আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও টিএনও ও সালমা ইসলাম সেই ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা না নিয়েও আমাদের কথা অগ্রাহ্য করেন। সালমা ইসলাম আজ জয়পাড়ার মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের আপমান করে গেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের না নিয়ে তিনি তার নেতাকর্মীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তলন করেছেন যা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ মেনে নেয় নি। তাই তারা আজ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের এই অনুষ্ঠানে দাওয়াত পান নি দোহারের অন্যতম তিন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান খান, জজ এম এ মান্নান ও মাহবুবুর রহমান। তাদের এই দাওয়াত কেন দেওয়া হলো না তা আজ আওয়ামী পরিবার জানতে চায়। দোহার উপজেলা টিএনও ও সালমা ইসলাম মিলিত ভাবে দোহারে আজ এই বিশৃক্ষলা সৃষ্টি করেছে।

আপনার মতামত দিন