ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বড় ধরনের ‘প্রতিশোধমূলক’ হামলা চালানোর দাবি করেছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, এই হামলায় ছয় শতাধিক ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। তবে রাশিয়ার এ দাবি অস্বীকার করেছে কিয়েভ। খবর এএফপির।
গতকাল রোববার (৮ জানুয়ারী) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের ক্রামাতোরস্ক এলাকায় দেশটির সেনাদের ব্যারাক হিসেবে ব্যবহৃত দুটি ভবন নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
এ বিষয়ে রাশিয়া বলছে, নববর্ষের প্রাক্কালে দোনেৎস্কের মাকিভকায় ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলার প্রতিশোধ ক্রামাতোরস্ক এলাকায় নিয়েছে তারা।
তারা আরও বলেন,মাকিভকায় ইউক্রেনীয় হামলায় ৮৯ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন বলে স্বীকার করেছে মস্কো। তবে ইউক্রেনের দাবি, মাকিভকায় ৪০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছেন।
ক্রামাতোরস্কে হামলা নিয়ে রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী। ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় দলের মুখপাত্র সের্গেই চেরেভাতি বলেন, ‘আমাদের সব হিমার্স রকেটব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি যেমন, এই কথাও তেমন।’ মাকিভকাতে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা ব্যবহার করেছে ইউক্রেন।
চেরেভাতি আরও বলেন, রাশিয়া সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারেনি। ঠিক কখন হামলাটি চালানো হয়েছে, তা রাশিয়ার বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। বিবৃতিতে শুধু বলা হয়েছে, রুশ গোয়েন্দা সংস্থা গত ২৪ ঘণ্টায় ক্রামাতোরস্কের দুটি ভবনে ১ হাজার ৩০০–র বেশি ইউক্রেনীয় সেনার অবস্থান শনাক্ত করেছে।
অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের বড়দিন উপলক্ষে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৩৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিলেন। তবে ইউক্রেন এই যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করে।
গত শনিবার কিয়েভের স্থানীয় সময় রাত ১১টায় পুতিনের এই একতরফা যুদ্ধবিরতির সময়সীমা শেষ হয়।