হাদিস নং ৪৬২৮: আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা আদম (আ.)-কে তাঁর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর উচ্চতা ছিল ষাট হাত। আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে সৃষ্টি করে বলেন, যাও এবং অবস্থানরত মালায়িকাহ্’র (ফেরেশতাদের) ঐ দলটিকে সালাম করো। আর তাঁরা তোমার সালামের উত্তরে কি বলে তা শ্রবণ করো। তাঁরা যে উত্তর দেবে তা তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালামের উত্তর। অতঃপর আদম (আ.) গিয়ে তাঁদের উদ্দেশে বললেনঃ ‘‘আসসালা-মু ‘আলায়কুম’’। অতঃপর মালায়িকাহ্ উত্তর দিলেন, ‘‘আসসালা-মু ‘আলায়কা ওয়া রহমাতুল্ল-হ’’। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তাঁরা (ফেরেশতাগণ) ‘‘ওয়া রহমাতুল্ল-হ’’ অংশটি বৃদ্ধি করেছেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ যে ব্যক্তিই জান্নাতে প্রবেশ করবে সে আদম (আ.)-এর আকৃতিতেই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং সে উচ্চতায় হবে ষাট হাত। তখন হতে আজ পর্যন্ত সৃষ্টিকুলের উচ্চতা ক্রমাগত হ্রাস পেয়ে আসছে। (বুখারী ও মুসলিম)
[1] সহীহ : বুখারাী ৩৩২৬, ৬২২৭; মুসলিম (২৮৪১)-২৮, আহমাদ ৮১৭১, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৭৫৩, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬১৬২, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ১৯৪৩৫, শু‘আবুল ঈমান ৮৮৬৯, আল জামি‘উস্ সগীর ৫৫৪৫, সহীহুল জামি‘ ৩২৩৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ৪৬২৯: ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন্ ‘আমলটি উত্তম? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অপরকে খাবার খাওয়াবে এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেবে। (বুখারী ও মুসলিম)
[1] সহীহ : বুখারী ১২, ২৮; মুসলিম (৩৯)-৬৩, আহমাদ ৬৫৮১, নাসায়ী ৫০০০, ইবনু মাজাহ ৩২৫৩, আবূ দাঊদ ৫১৯৪, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৯৪৪, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৭৭৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫০৫, ‘নাসায়ী’র কুবরা ১১৭৩১, শু‘আবুল ঈমান ৩৩৫৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ৪৬৩০: আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একজন মু’মিনের ওপর অপর মু’মিনের ছয়টি অধিকার রয়েছে। যথা- ১. যখন কোন মু’মিনের রোগ-ব্যাধি হয়, তখন তার সেবা-শুশ্রূষা করা, ২. কেউ মৃত্যুবরণ করলে, তার জানাযাহ্ ও দাফন-কাফনে উপস্থিত হওয়া, ৩. কেউ দা‘ওয়াত করলে তা গ্রহণ করা অথবা কারো ডাকে সাড়া দেয়া, ৪. সাক্ষাতে সালাম প্রদান করা, ৫. হাঁচি দিলে জবাব দেয়া এবং ৬. উপস্থিত-অনুপস্থিত সকল অবস্থায় মু’মিনের কল্যাণ কামনা করা।
মাসাবীহ গ্রন্থকার বলেনঃ আমি এ হাদীসটি সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে পাইনি এবং হুমায়দীর কিতাবেও পাইনি। তবে জামি‘উল উসূলের গ্রন্থকার নাসায়ী’র বর্ণনা সূত্রে এটা বর্ণনা করেছেন।
[1] সহীহ : নাসায়ী ১৯৩৮, তিরমিযী ২৭৩৭, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৮৩২, আল জামি‘উস্ সগীব ৯৩১৯, সহীহুল জামি‘ ৫১৮৮, আহমাদ ৮২৭১, শু‘আবুল ঈমান ৮৭৫৩, ‘নাসায়ী’র কুবরা ২০৬৫, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ৭১৯, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৯৩৪১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২১৫৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ৪৬৩১: উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা ঈমান গ্রহণ করবে। আর ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা পরস্পরকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন কথা বলে দেব, যার উপর ‘আমল করলে তোমাদের পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। (তা হলো) তোমরা পরস্পরের মধ্যে সালামের প্রচলন করবে। (মুসলিম)
সহীহ : মুসলিম (৫৪)-৯৩, আহমাদ ৯০৮৫, আল জামি‘উস্ সগীর ১৩০৩৭, সহীহুল জামি‘ ৭০৮১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৬৯৪, তিরমিযী ২৬৮৮, ইবনু মাজাহ ৩৬৯২, আবূ দাঊদ ৫১৯৩, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ১৯৪৪০, ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৭৪৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ২৩৬, শু‘আবুল ঈমান ৬৬১৩, ‘বায়হাক্বী’র কুবরা ২১৫৯৫, আল মুসতাদরাক ৭৩১০।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ৪৬৩২: উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আরোহী ব্যক্তি পায়ে হেঁটে চলা ব্যক্তিকে সালাম দেবে এবং পদব্রজে গমনকারী উপবিষ্টমান ব্যক্তিকে সালাম দেবে এবং অল্পসংখ্যক লোক বেশি সংখ্যক লোককে সালাম দেবে। (বুখারী ও মুসলিম)
সহীহ : বুখারী ৬২৩২, ৬২৩৩; মুসলিম (২১৬০)-১, আহমাদ ১০৬২৪, তিরমিযী ২৭০৩, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১১৪৫, আবূ দাঊদ ৫১৯৯, সহীহুল জামি‘ ৮০৮৯, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৭০৪, সহীহ আদাবুল মুফরাদ ৭৬৯, মালিক ৩৫২৪, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ১৯৪৪৩, ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৮৬৯, শু‘আবুল ঈ‘মান ৮৮৬২, দারিমী ২৬৩৪, ‘বায়হাক্বী’র কুবরা ১৯১৮৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি