প্রতিদিনের হাদিস: কোরবানী

531
প্রতিদিনের হাদিস

হাদিস নং ৩১২০: আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ শিংবিশিষ্ট দু’টি ধুসর বর্ণের মেষ কোরবানী করেছিলেন। তিনি (যবেহ করার সময়) বিসমিল্লাহ ও তাকবীর বলেছিলেন। আমি তাঁকে নিজের পা সেটির পাঁজরের উপর রেখে চেপে ধরে স্বহস্তে তা কোরবানী করতে দেখেছি।

সহীহুল বুখারী ১৫৫১, ১৭১২, ৫৫৪৯, ৫৫৫৩, ৫৫৫৪, ৫৫৫৮, ৫৫৬১, ৫৫৬৪, ৫৫৬৫, ৭৩৯৯, মুসলিম ১৯৬২, ১৯৬৬, তিরমিযী ১৪৯৪, নাসায়ী ৪৩৮৫, ৪৩৮৬, ৪৩৮৭, ৪৩৮৮, ৪৪১৫, ৪৪১৬, ৪৪১৭, ৪৪১৮, আবূ দাউদ ২৭৯৩, ২৭৯৪, আহমাদ ১১৫৭৩, ১১৭৩৭, ১১৭৬১, ১২৩২৫, ১২৪১৯, ১২৪৮২, ১২৫৫৬, ১২৭৯০, ১২৮২২, ১২৯১০, ১৩২৬৯, ১৩৩০২, ১৩৪১৯, ১৩৪৬৪, ১৩৫৬০, ১৩৫৮৩, দারেমী ১৯৪৫, ইরওয়া ১১৩৭, ২৫৩৬, সহীহ আবু দাউদ ২৪৯১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

হাদিস নং ৩১২২: আয়েশা (রাঃ) ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর ইচ্ছা করলে দু’টি মোটাতাজা, মাংসল, শিংযুক্ত, ধুসর বর্ণের ও ছিন্নমুষ্ক মেষ ক্রয় করতেন। অতঃপর এর একটি নিজ উম্মাতের যারা আল্লাহর একত্বের সাক্ষ্য দেয় এবং তাঁর নবুয়াতের সাক্ষ্য দেয় তাদের পক্ষ থেকে এবং অপরটি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে কোরবানী করতেন।

আহমাদ ২৫৩১৫, ২৫৩৫৮, ইরওয়া ১১৩৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ বিন আকীল সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় শিথিল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫৪৩, ১৬/৭৮ নং পৃষ্ঠা)

অন্য খবর  রোজার জরুরি মাসালা

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

হাদিস নং ৩১২৩: আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানী করে না, সে যেন আমাদের ঈদের মাঠের কাছেও না আসে।

আহমাদ ৮০৭৪, তাখরিজুল মুশকিলাতুল ফিকর ১০২, আত-তালীকুর রাগীব ২/১০৩। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী যায়দ ইবনুল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২০৯৫, ১০/৪০ নং পৃষ্ঠা) ২. আবদুল্লাহ বিন আয়্যাশ সম্পর্কে আবুল কাসিম বিন বিশকাওয়াল বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু সাঈদ বিন ইউনুস আল-মিসরী বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমালী কোন ফিসক এর সাথে জড়িত। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭২, ১৫/৪১০ নং পৃষ্ঠা)

অন্য খবর  প্রতিদিনের হাদিসঃ উত্তম ব্যবহার

হাদিসের মানঃ  হাসান (Hasan)

হাদিস নং ৩১২৫: মিখনাফ ইবনে সুলাইম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আরাফাতের ময়দানে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট অবস্থানরত ছিলাম। তখন তিনি বলেনঃ হে জনগণ! প্রতিটি পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর একটি কোরবানী ও একটি আতীরা রয়েছে। তোমরা কি জানো আতীরা কী? তা হলো, যাকে তোমরা রাজাবিয়া বলো।

তিরমিযী ১৫১৮, নাসায়ী ৪২২৪, আবূ দাউদ ২৭৮৮, আহমাদ ১৭৪৩২, সহীহ আবু দাউদ ২৪৮৭। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী আবু রামালাহ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তার মাঝে জাহালাত রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩০৬৬, ১৪/৮৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ  হাসান (Hasan)

গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ

অধ্যায়ঃ কোরবানী

পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস

আপনার মতামত দিন