ধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘নিমতলীর ঘটনার পর পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যালের গুদাম সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যেকোনও কারণে তা হয়নি। এখান থেকে আমাদেরকে সরতে হবে। ব্যবস্থা না নিয়ে ধাক্কা দিয়ে তো বের করে দিতে পারবেন না।’
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের অর্থনীতিতে অনেক অবদান রয়েছে। ৯ বছর আগে ব্যবসার ধরন যা ছিল এখন আরও বেড়েছে। এটা ঠিক হয়নি। কারণ আমাদের বোঝা উচিত ছিল আমাদেরকে এখান থেকে সরতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, এখন অগ্নিকাণ্ডের জন্য ক্ষতিকর ২৯টি দাহ্য পদার্থের তালিকা করা হয়েছে। প্রয়োজনে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আরও বাড়ানো হবে। কিন্তু এটি ৩২ এর বাইরে যাবে না।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘পুরান ঢাকার দুর্ঘটনা আমি দেখেছি। এই বিভৎস চিত্র নগর কর্তৃপক্ষ মেনে নিতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী মেনে নিতে পারেননি। আমরা চাই এই টাস্কফোর্স ঝুঁকি নিরসন করে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেবে। টাস্কফোর্স যখন গঠন করেছি তখন তার কার্যপরিধি নিশ্চিত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ২৯টি ছাড়াও অনেক দাহ্য পদার্থ আছে। অগ্নিকাণ্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ অপসারণ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে কোনোভাবেই কোনও ব্যবসায়ীকে হয়রানি বা দাহ্য পদার্থ নয় তার বিরুদ্ধে অভিযান করা হবে না।
অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।