পরীক্ষা যখন ভোগান্তি

957

পহেলা নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন দোহার-নবাবগঞ্জের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

দোহারের পদ্মা কলেজ, জয়পাড়া কলেজ ও নবাবগঞ্জের দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ, তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী কলেজের শিক্ষার্থীদের তিন ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকাস্থ কবি নজরুল সরকারী কলেজে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার সময় বাসেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে বেশিরভাগ নারী শিক্ষার্থী। দুপুর একটায় শুরু হওয়া চার ঘন্টার এ পরীক্ষা শেষ হতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। নিরাপত্তা ও দূরত্ব বিবেচনায় বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবকেরাও পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছেন।

জয়পাড়া কলেজের এক শিক্ষার্থী নিউজ৩৯ কে বলেন “বাসে এতোদূর যাতায়তের পর কি ভালভাবে পরীক্ষা দেওয়া যায়? হলে বসলেই মাথা ঘোরায়। আমার অনেক বন্ধুরা বাসে বমিও করেছে। সকাল ৮ টায় বাসা থেকে বের হয়ে বাসায় পৌছাই রাত ১০ টায়। যেসব পরীক্ষার মাঝে একদিন করে বন্ধ সেগুলো নিয়ে অনেক চিন্তায় আছি”

পরীক্ষা সম্পর্কে জানতে চাইলে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নিউজ৩৯ কে জানান “সব কাজ ফেলে মেয়েকে পরীক্ষা দেওয়াতে ঢাকায় এসেছি। মেয়ে মানুষ রাতে একা ঢাকা থেকে বাসায় ফিরবে কিভাবে? কলেজ থেকে যাতায়তের জন্য বাসের ব্যবস্থা করে দিলে তবুও নিশ্চিন্ত হওয়া যেতো”

অন্য খবর  মহাবিশ্বের তুলনায় আমরা ঠিক কতটা ক্ষুদ্র?

দোহার থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে অবিভাবক সহ একজন শিক্ষার্থীর শুধুমাত্র যাতায়ত খরচ ৩০০ টাকা যা অনেক অস্বচ্ছল পরিবারের পক্ষে দেওয়া প্রায় অসম্ভব। এমতবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী বছর অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার কেন্দ্র দোহার ও নবাবগঞ্জে ফেলার আহবান জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

আপনার মতামত দিন