নবাবগঞ্জ(ঢাকা) প্রতিনিধিঃ আসন্ন দশম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শিকারীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হতে যাচ্ছেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জনাব কাজী শওকত হোসেন শাহীন।
একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে তিনি এবার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে আসছেন। তবে দলের অনেকের মধ্যে এ নিয়ে রয়েছে নানা গুঞ্জন। বলছেন এত হেভিওয়েট সিনিয়র নেতা কেন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আসতে চাচ্ছেন। অনেকে ফেসবুকে তাকে নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন পক্ষে আর বিপক্ষে।
তবে তিনি নৌকা প্রতীক না পেলে নির্বাচন করবেন না বলেও জানা যায়। অনেকের অভিযোগ রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলিমোর রহমান খান (পিয়ারা) বিরুদ্ধে। তিনি ঠিকমত কাজ না করার কারণে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে ইউনিয়নের জনসাধারণের মাঝে। যার প্রমান পাওয়া গিয়েছিল গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে।
তার থেকে অনেক দূর্বল প্রতিদ্বন্দী কিছু ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। তবে এটা নিয়েও যথেষ্ট অভিযোগ রয়েছে অনেকের মধ্যে। কারণ হিসেবে জাল ভোট ও প্রশাসনের সুবিধার কথা বলতে দেখা যায়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে আসতে চাচ্ছেন।
যার মধ্যে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা জনাব আইয়ুব মোল্লা, কৃষক লীগের উপজেলা সদস্য জনাব বাদল মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম অন্যতম। বিএনপির নেতাদের মধ্যে কারো নামই ভালভাবে শোনা যাচ্ছে না। তবে বিএনপি কুয়েত শাখার নেতা লালন মিয়া, শিরিম রহমান ও আবদুল হাই বাচ্চুর কথা জানা যাচ্ছে কারো কারো কাছ থেকে।
ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি জনাব রইস উদ্দিন আহমেদ খোকন যিনি গত দুই বার নির্বাচন করছেন। তার পিতাও অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার ব্যাপারেও ধোঁয়াশা রয়েছে। অনেক দিন যাবতই এই এলাকার জনগণ ভাল নেতৃত্ব খোঁজছেন। তাই কাজী শওকত হোসেন শাহীনের দিকে ঝুকতে পারে জনগণ। ইতোমধ্যে তিনি দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।
অন্যদিকে তরুন নেতৃত্বের মধ্যে জনাব মোস্তাক আহমেদকে অনেকে দেখছেন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে। অনেকের কৌতুহল রয়েছে তাকে নিয়ে। তবে তার থেকে এখনো কোন কিছু জানা যায়নি। ফেসবুকে এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
যেভাবেই হোক শিকারী পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের এবারের নির্বাচণে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দিতা লক্ষ্য করা যেতে পারে। কে হবে নৌকার মাঝি সে পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। অনেকে নির্বাচনে সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা করছেন।