একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বুধবার বিকাল ৪টায় নির্বাচন প্রচারনায় নেমেছেন দোহার-নবাবগঞ্জ ঢাকা-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক । এসময় বিএনপি প্রাথী খন্দকার আবু আশফাক তার গাড়ি বহরটি পালামগঞ্জ থেকে বাঁশতলা – করম আলীর মোড় হয়ে জয়পাড়া জিরো পয়েন্টে এসে নির্বাচন প্রচারনা চালান । এসময় আওয়ামীলীগের সমর্পুথকদের সাথে সংঘর্ষের আশংকায় পুলিশি বাধার মুখে পড়েনসংগঠনটি। বিএনপির প্রার্থী খোন্দকার আবু আশফাকের মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এসময় প্রার্থী আবু আশফাকসহ অন্তত ৮ জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। আহত হয় অন্তত ২৫ নেতাকর্মী। বুধবার বিকেলে দোহারের লটাখোলা করম আলী মোড় থেকে ধানের শীষের প্রতীকের মিছিল বের হলে এ ঘটনা ঘটে। মিছিলে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
নির্বাচনী মিছিল শেষে বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় কেউ রুখতে পারবেনা। পুলিশ এখানো হুমকি-ধামকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে নেতাকর্মীদের। পুলিশের এ ধরণের আচরণ সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। মানুষ এখন পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে। যে কারণে ঢাকা-১ আসনে ধানের শীষের জোয়ার উঠেছে। এসময় পুলিশ হঠাৎ করে নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে বলে স্থানীয় নেতা-কর্মিরা অভিযোগ করে।
এসময় পুলিশের উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে লটাখোলা করম আলীর মোড় থেকে পুলিশ বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাককে আটক করে থানায় যায়। এছাড়া দোহার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মেছের সহ অন্তত ৮ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। তবে বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, অন্তত ১৯/২০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, বিএনপির প্রার্থী আবু আশফাককে আটক করা হয়নি।‘ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হওয়ার আশঙ্কা ছিল বলে প্রার্থীর নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে থানায় নেওয়া হয়েছে।’ তাকে নিরাপদে রাখার জন্য এবং সংঘর্ষে আহত হওয়া থেকে রক্ষার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে, ছেড়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়েছে। এছাড়া বিপরীত দিক থেকে আসা আওয়ামীলিগের নেতা-কর্মিদেরকে তারা উস্কানি দেয় এবং সেখানে আওয়ামীলীগের ২ কর্মির মোটরবাইক বিএনপি নেতা-কর্মিরা পুড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে আবু আশফাকের সাথে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে, কথা বলতে দেয়নি পুলিশ।
নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার কালাম বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে এবং অন্যায়ভাবে আমাদের নেতাকে তুলে নিয়েছে।আর আমরা কোন উস্কানি দেইনি।’
দোহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘সরকার দলীয় প্রার্থী দিন–রাত প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু তাদের কোন ধরনের বাধা দেওয়া হচ্ছে না। আর আমরা মাঠেই নামতে পারছি না।’ তিনি দাবি করেন, পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে।