ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা এবং দোহারের মৈনট ঘাট থেকে ছেড়ে আসা গুলিস্তানগামী গণপরিবহন এখন সিটিং সার্ভিসের নামে চিটিংবাজি শুরু করেছে। যাত্রীরা সিটিং সার্ভিস না বলে চিটিং সার্ভিস বলতেই যেন বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
দোহার ও নবাবগঞ্বাজ বাসীর জন্য ঢাকায় যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে দোহারের মৈনট ও নবাবগঞ্জের বান্দুরা থেকে ছেড়ে আসা বাস। প্রতিটি বাস নামে সিটিং সার্ভিস হলে বাস পরিচালনায় নেই সিটিং সার্ভিস বাসের নূন্যতম বৈশিষ্ট্য। দাঁড় করিয়ে যাত্রী পরিবহন করা এই পরিবহনগুলোতে সাধারন ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। যাত্রী সেবা তো নেই উল্টো এই ব্যাপারে কথা বললে যাত্রী হয়রানী নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নবাবগঞ্জ টু গুলিস্তান সড়কে চলাচল করা পাবলিক বাসগুলোর কাছে এখন নবাবগঞ্জের মানুষ জিম্মি। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের কাছে অসহায় যাত্রীরা। এর নিয়ন্ত্রণ নেই কারও হাতে, নেই জবাবদিহিতাও।
প্রতিনিয়ত ভোগান্তি ও প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যবসায়ী আসিফ আকাশ (২৪) নিউজ৩৯ কে বলেন, আসলে লোকাল-সিটিং বলতে কিছু নেই। সবারই ভাড়া বেশি নেওয়ার ধান্ধা। টাকা দিতে আপত্তি নেই, যদি সেবাটা পাওয়া যেত। আমরা নিরুপায়, তাই বাসে উঠতে হয়।
অন্যদিকে বাসের সীটগুলোও বসার অনুপযোগী হওয়ায় যাত্রীরা আরাম করে বসতে পারে না। যমুনা গাড়ির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক নিউজ৩৯ কে জানান, গাড়ি মালিক গাড়ি মেরামত না করলে আমরা কি করতে পারি। সিস্টেম তো তাদের চেঞ্জ করতে হবে, আমাদের হাতে কিছু নেই। সিটিং সার্ভিসই চালানো হয়, তবে মাঝে মধ্যে যাত্রীর চাপ থাকলে লোকাল যাত্রীও নেই।