নবাবগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি এবং নবজাতকের মৃত্যু

1131

নবাবগঞ্জ উপজেলার পাড়াগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি গৃহবধূ নূর জাহান (২৮) ও তার নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৮টারদিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত জনতা ক্লিনিক ভাংচুর করেছে। এঘটনায় ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ দু’জন নার্সকে আটক করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।

নিহত নূরজাহান উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের মাইলাইল গ্রামের মো. রমজানের স্ত্রী ও মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চরপল্টন গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল বারেকের মেয়ে।

ভূক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার রাতে প্রসূতী নূর জাহানের প্রসব ব্যাথা উঠলে স্বজনরা রাত ২টার দিকে স্থানীয় পাড়াগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেসময়ে ক্লিনিকে কোন ডাক্তার ছিল না। ভোর ৪টার দিকে প্রসব ব্যাথা চরম পর্যায়ে পৌছে। স্বজনরা ডাক্তার আসার সময় জানতে চাইলে এসে গেছে বলে জানানো হয়। তারপর প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায় নার্সরা। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রসূতির মৃত দেহ স্বজনদের বুঝে নিতে বলা হয়। এসময় নবজাতক প্রসূতির পেটেই ছিল। স্বজনদের অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। এর আগে উত্তেজিত জনতা ক্লিনিকের জানালা ভাংচুর চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে ক্লিনিকের ম্যানেজার সারোয়ার হোসেন, প্রধান নার্স মাহফুজাসহ ৩জনকে আটক করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে ক্লিনিক সংশ্লিষ্টরা গা ঢাকা দেয়।

অন্য খবর  স্বীকৃতি পায়নি নবাবগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শওকাত হোসেন

নিহত প্রসূতির বাবা আব্দুল বারেক অভিযোগ করেন, হাসপাতালে কোন ডাক্তার ছিল না। আমি তাদের বার বার বলেছি ভালো ডাক্তার না হলে মেয়ের অপারেশন করাবো না। নার্সরা আমার কথা শোনেনি। নার্সরাই আমার মেয়ের অপারেশন করতে গিয়ে মেয়েসহ নবজাতক হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।

নবাবগঞ্জ থানার পরিদর্শক তদন্ত আনসারী জিন্নাত আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত দিন