নবাবগঞ্জে বিয়ে পড়িয়ে দেয়ার কথা বলে গণধর্ষণ সংবাদ নিয়ে শিকারীপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের প্রতিবাদ

260
নবাবগঞ্জে বিয়ে পড়িয়ে দেয়ার কথা বলে গণধর্ষণদ

৫ জুন ২০২০ তারিখে নিউজ৩৯ এ প্রকাশিত নবাবগঞ্জে বিয়ে পড়িয়ে দেয়ার কথা বলে গণধর্ষণ সংবাদের একাংশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিকারীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলীমোর রহমান খান পিয়ারা।

প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, এই ঘটনার সাথে আমি কোন ভাবেই জরিত না। একজন শহীদ পরিবারের সন্তান হিসাবে, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে, একজন চেয়ারম্যান হিসাবে কোন ধরনের অন্যায় ও অপকর্মের সাথে আমার বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। এই ঘটনার ব্যাপারে আমি বিন্দুমাত্র কিছু জানি না। আমার কাছে কেউ বিচার চাইতে আসে নি, আমিও কারো বিচারে যাই নি। রিপোর্টের একাংশে  বলা হয়েছে, আমি নাকি এই ঘটনায় জড়িত একজনকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছি। অথচ যেই ব্যাপারটা সম্পর্কে আমি জানি না, সেখানে আমি আরেকজনকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনতে কেন যাব। আমার ব্যাপারে শিকারীপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কথিত সভাপতি বলেছেন আমি নাকি এই ঘটনার সাথে যারা জরিত তাদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেই। আমি নাকি তাদের যাবতীয় অপকর্মের মদদদাতা। অথচ আমার বাবা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্থান ক্যাম্পে নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরন করেন, আমি মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি। শিকারীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে আমি দায়িত্ব পালন কালে আমার বিরুদ্ধে কেউ দুই টাকার দূর্নীতির অভিযোগ আনতে পারে নি অথচ উনি আমাকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন। উনি নিজেকে আওয়ামী লীগের দাবি করেন, অথচ বিগত নির্বাচনগুলোতে উনাকে আওয়ামী বিরোধী শিবিরেই বেশি দেখা গেছে। উনি নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে কিছুদিন আগে বহিস্কৃতও হয়েছিলেন। উনি সাধারন ক্ষমার আওতায় বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সংযুক্ত আছেন। উনি এর আগেও আমার সাথে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন, আমি শিকারীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। গতবার আমি নৌকা প্রতিক নিয়ে উনার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে জয়লাভ করি। আমার ব্যক্তি জনপ্রিয়তায় ঈর্ষার শিকার হয়ে তিনি আমার বিরুদ্ধে এই সব কথা বার্তা বলেছেন। আমার সাথে কোন খারাপ লোকের সম্পর্ক নেই, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার কারনে আমার কাছে সব ধরনের লোকই আসে। আমি যাচাই বাছাই করে তাক্রপর সব ধরনের সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু উনি চলাফেরাই করেন এলাকার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী এদের সাথে। ফলে এলাকার মানুষের কাছে উনি এমনিতেই অজনপ্রিয় ব্যক্তি। এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে উনি কিছু সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চান। যা শিকারীপাড়ার সাধারন মানুষ বুঝে। আর করোনা মহামারীর এই পরিস্থিতিতে উনি আমাকে নিয়ে যে মিথ্যা ও অনৈতিক মন্তব্য করেছেন আমি তার প্রতিবাদ জানাই এবং নবাবগঞ্জে বিয়ে পড়িয়ে দেয়ার কথা বলে গণধর্ষণ  সংবাদে আমাকে জড়িয়ে যে নিউজ করা হয়েছে আমি তার আমার অংশের সংবাদের প্রতিবাদ জানাই।

আপনার মতামত দিন