ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী এমএ বারী বাবুল মোল্লার পক্ষ থেকে করোনা মহামারীতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় সাধারন মানুষের মাঝে ত্রান বিতরন করা হয়েছে। এই সময় ৫০০ পরিবারের মাঝে এই ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়। এই কঠিন সময়ে অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে এই ত্রান পৌছে দেয়া হয়।
সারা দেশের মতো নবাবগঞ্জও করোনা মহামারীতে আক্রান্ত। সাধারন মানুষের কাজ না থাকায় এক প্রকার অসহায় ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় তারা দিন যাপন করছে। এই সময় এই অসহায় পরিবারগুলোর পাশে এসে দাড়ায় এমএ বারী বাবুল মোল্লা। তার পক্ষ থেকে এই অসহায় ও দরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তৈল, ১ প্যাকেট সেমাই, আধা কেজি চিনি পৌছে দেয়া হয়।
রবিবার সকালে বারুয়াখালী, আংশিক শিকারীপাড়া ও নয়নশ্রী ইউনিয়নের মেম্বারদের হাতে এসকল খাদ্যসামগ্রী হস্তান্তর করেন তিনি। এই সময় বাবার পাশে স্কুলের টিফিন ও বিভিন্ন উৎসবে পাওয়া জমানো ১০ হাজার টাকা দিয়ে শরীক হয়েছেন মেয়ে সোহা বারী। সোহা মাস্টার মাইন্ড স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী।
বারুয়াখালী এবং নয়নশ্রী ইউপি সদস্য লাল মিয়া এবং আনিসুল ইসলাম জানান, টাকা থাকলেই মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় না, এর জন্য সুন্দর একটি মন লাগে। এমএ বারী বাবুল মোল্লা তার একটি দৃষ্টান্ত।
এসময় বিশিষ্ট এ ব্যবসায়ী জানান, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে এবং আমাদের সম্মানিত সাংসদ প্রধানমত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পথ ধরে এই দুর্যোগ পূর্ণ অবস্থায় আমার যতটুকু সামর্থ ছিলো মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমি বিশ্বাস করি আল্লার রহমতে এ দুর্যোগ বেশি দিন থাকবে না। কিন্তু এ মহা বিপদে আপনি যদি আপনার অবস্থান থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ান অবশ্যই আপনাকে মানুষ মনে রাখবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে অনেক শিল্পপতিরা দোহার-নবাবগঞ্জ বাসীর পাশে এসে দাড়িয়েছেন আমি তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে যার যার অবস্থান থেকে অন্তত নিজ এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহব্বান জানাচ্ছি।