নিউজ ৩৯ ♦ ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ৫নং শোল্লা ইউনিয়নের ২টি ভোট কেন্দ্রের অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল হয়। ১টি কেন্দ্রে হতে ১শত ব্যালট মুরি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধারের পর পরাজিত প্রার্থীদের সমর্থকগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচন অফিসারের বরাবর ফলাফল বাতিলের আবেদন করেন। ভোটের পরদিন সকালে মুড়িগুলো কেন্দ্রের পেছনে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেগুলোতে সিল দেয়া ছিল কিন্তু সাক্ষর করা ছিল না। শিশুরা খেলতে গিয়ে সেগুলো পায়। এলাকাবাসী শিশুদের হাতে লাল কাগজ দেখে কৌতুহলী হয়ে দেখেন যে সেগুলো ভোটের মুড়ি।
১৭ জুন বিকাল ৫টায় উপজেলা চত্বরে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন খান ও মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকগণ বিক্ষোভ মিছিল করে। চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন খান ও নাসির আহসান পলাশ লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রিজাইডিং অফিসার অজিত কুমার সাহা সুলতানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বাবু অজিত কুমার চকোরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে লিখিত ফলাফল না দিয়ে মৌখিকভাবে ফলাফল ঘোষণা দিয়ে উপজেলায় নিয়ে আসেন। ৮নং সুলতানপুর ভোট কেন্দ্র মৌখিকভাবে ৮৬৭ বলা হলেও উপজেলায় এসে ৬শত প্রকাশ করা হয় এবং চকোরিয়া কেন্দ্রে ৫৩৬ এর স্থলে ৪০৫ দেখানো হয়েছে, এবং পরদিন সকালেই সুলতানপুর কেন্দ্রে প্রিজাইটিং অফিসারের রুমের পিছনে ১শত ব্যালটের মুরি বইয়ের পাতা পাওয়া গেছে। এঘটনায় ২জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মেম্বার প্রার্থীরা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
প্রিজাইটিং অফিসার অজিত কুমার সাহা বলেন, “আমার জানামতে কেন্দ্রে কোন মুরি বই নেই। ভুলবশত থাকতে পারে। তবে কোন অনিয়ম হয়নি।“
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, “অনিয়নের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।“
উল্লেখ্য, গতকাল রাত নয়টার দিকে কেন্দ্রসমূহ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু ভোট গণনা শেষে গভীর রাতে ঘোষণা করা হয় যে মোঃ ফজলুল হক (দেওয়াল ঘড়ি) বিজয়ী হয়েছেন।
ছবি: বিকেলে তদন্তের ফলাফলের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অপেক্ষারত শোল্লা ইউনিয়নবাসী