ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার সোনাহাজরা মুফিজিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা অধ্যক্ষ কেএম মাহমুদুল হাসানকে অবশেষে দুর্নীতির দায়ে অপসারণ করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ক্লাস বর্জনের ৮ দিন পর বৃহস্পতিবার শ্রেণিকক্ষে ফিরলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর দৈনিক যুগান্তরে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ কেএম মাহমুদুল হাসানের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পদে বহাল থেকে আর্থিক দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবি করে আসছিলেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক প্রতিনিধি ও এলাকাবাসী। অধ্যক্ষ অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। ওইদিন থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাদ্রাসাটিতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বুধবার রাতে সুপারের অপসারণের ঘোষণার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে শ্রেণিকক্ষে ফেরেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সূত্র জানায়, বিষয়টি সমাধানে বুধবার বিকালে মাদ্রাসার শিক্ষক মিলনায়তনে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদ ও স্থানীয় প্রশাসন। ওই কক্ষে অধ্যক্ষ কেএম মাহমুদুল হাসানকেও রাখা হয়। দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টা কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করা হয়। বিকাল থেকে মাদ্রাসা উঠানে উপস্থিত এলাকার সহস্রাধিক লোক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু মাইকে উপস্থিত সবার উদ্দেশে বৈঠকের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেরিত চিঠির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধ্যক্ষকে অপসারণ করা হল। যে চিঠিটি এতদিন লুকিয়ে রাখা ছিল। একই সঙ্গে সহকারী প্রভাষক হাফেজ মো. বজলুর রহমানকে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হল। তাছাড়া সাবেক অধ্যক্ষের অনিয়মের অভিযোগগুলো ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বক্তব্য দেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ, নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোস্তফা কামাল।