ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কাশিমপুর এলাকা থেকে সায়মা (২২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে লাশ উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহতের বাবার দাবি যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। সায়মা কাশিমপুর গ্রামের প্রবাসী ওমর ফারুকের স্ত্রী এবং দোহার উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের মধুরচরের আব্দুস সালামের মেয়ে।
নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান খান জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সায়মাকে ঘরের ভিতর সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে লাশ উদ্ধার করে সুরাতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, সায়মা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
তবে নিহত সায়মার বাবা আব্দুস সালাম জানান, প্রায় ১৬ মাস আগে নবাবগঞ্জের কাশিমপুর গ্রামের মো. মুসলেম এর ছেলে ওমর ফারুকের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে সায়মাকে নির্যাতন করতে থাকে ওমর ফারুকের দুই বোন রোকেয়া ও রিনা এবং তাদের স্বামীরা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ১৬ মাস আমার মেয়েটা নির্যাতন সহ্য করেছে। দুই বোন ও ওদের স্বামীরা আমার মেয়েকে হত্যা করে এখন আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। আমি পুলিশকে সব জানিয়েছি। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।