নবাবগঞ্জে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে

593

ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় হচ্ছে একটি বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৮৭৪ একর জমিতে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করবে। এ জন্য বেজা ১ হাজার ৭০২ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি বিস্তারিত প্রকল্প পরিকল্পনা (ডিপিপি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছে।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রাথমিক অনুমোদন আগেই নেওয়া ছিল। এবার প্রকল্পের অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরুর আশা করা যায়।

বেজা বলছে, এ প্রকল্পের দুটি উদ্দেশ্য। প্রথমত, ঢাকা শহরে যত বিপজ্জনক শিল্পকারখানা আছে, সেগুলোকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য জমির ব্যবস্থা করা। দ্বিতীয়ত, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যাঁরা ঢাকার আশপাশে জমি চান, তাঁদের জন্য জমির ব্যবস্থা করা।

প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলটি ঢাকা থেকে ৩৯ কিলোমিটার, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ২৩ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম থেকে ২৫৬ কিলোমিটার দূরে। এর ৮৭৪ একর জমির মধ্যে ৮৩৪ একরই ব্যক্তিমালিকানাধীন। এসব জমিতে কোনো বসতি নেই, বছরের একটা সময় পানির নিচে থাকে, বাকি সময় কৃষিকাজ হয়।

সম্ভাব্য স্থানটির কাছেই ধলেশ্বরী ও ইছামতী নদী। পিডব্লিউসির প্রাক্‌-সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) প্রথম শ্রেণির রুট হলো ধলেশ্বরী নদী। এর গভীরতা আড়াই থেকে সাড়ে তিন মিটার। ফলে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলটির নৌপথেও যোগাযোগ সুবিধা থাকবে।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জ গড়তে দলমত নির্বিশেষে কাজ করতে হবে: সালমা ইসলাম

নবাবগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সম্ভাব্য বিনিয়োগের খাত কী কী চান, তা জানতে ১৫৮টি প্রতিষ্ঠানের ওপর জরিপ করেছে পিডব্লিউসি। এগুলোর মধ্যে ১২৮টি দেশি প্রতিষ্ঠান, বাকিগুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। জরিপে উঠে আসে যে সেখানে মোট ৯টি খাতে বিনিয়োগ করতে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। সেগুলো হলো খাদ্য ও পানীয়, বস্ত্র ও পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, নন–মেটালিক মিনারেলস, ওষুধ, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক পণ্য, হালকা প্রকৌশল ও আসবাব, রাসায়নিক এবং প্লাস্টিক ও রাবার।

বেজা অবশ্য নবাবগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল ২০২২ সালের মধ্যে শেষ করার কথা বলছে প্রকল্প প্রস্তাবে।

উল্লেখ্য নবাবগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গত বছরের ৫ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নীতিগত অনুমোদন পায় বেজা। এরপর বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারসকে (পিডব্লিউসি) দিয়ে একটি প্রাক্‌-সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা করা হয়।

আপনার মতামত দিন