দোহারের সড়ক ও কলেজ সেজেছে কৃষ্ণচূড়ায়

139
দোহারের সড়ক ও কলেজ সেজেছে কৃষ্ণচূড়ায়

প্রকৃতির অপরূপ সাজে সেজেছে দোহারের কলেজ, রাস্তা ও পুকুরের পাড়। দোহার উপজেলার প্রায় সড়কে গাছে গাছে ফুটে আছে কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু ফুল। এমন ফুলের সৌন্দর্য নজর কাড়ছে সবার।

বসন্ত ঋতু এলে যেমন নানা রঙের নানা বর্ণের ফুলের দেখা মেলে। তেমনি গ্রীষ্ম ঋতুতে দেখা মেলে কৃষ্ণচূড়া আর সোনালু ফুলের। তবে ফুলপ্রেমীদের কাছে কৃষ্ণচূড়া ফুলই বেশি পছন্দের।

প্রকৃতিপ্রেমী ও ফ্রি ল্যান্সার সারোয়ার সারু বলেন, ‘বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলেজ ও সড়কসহ বাড়ির আঙিনায় বনজ গাছ রোপণের পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধক গাছ রোপণের তালিকায় কৃষ্ণচূড়া, জারুল, সোনালু ফুল রাখা দরকার। বিভিন্ন প্রকার সৌন্দর্যবর্ধক গাছ যদি রোপণ করা যায়, তাহলে প্রকৃতি যেমন অপরূপভাবে সেজে উঠবে তেমনি অক্সিজেন পাব আমরা। আমাদের সবার উচিত আমাদের বাড়ির আঙিনায় বা খালি জায়গায় এ ধরনের গাছ রোপণ করা।’

রিকশা চালক রুবেল হোসেন (৩০) বলেন, আমরা যখন দোহারের বিভিন্ন স্থানে রিকশা করে যাত্রী নিয়ে যাই তখন রাস্তায় ধারে কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। আমরা মাঝে মাঝে এই কৃষ্ণচূড়া ফুলের সুন্দর দেখে মুগ্ধ হই। তাছড়া আমরা যখন ক্লান্ত হয়ে পরি তখন রাস্তার পাশে থাকা গাছগুলোর ছায়ায় বিশ্রাম নেই।

অন্য খবর  দোহারে সেভেন ষ্টার ক্লাবের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

জয়পাড়া কলেজের ড্রিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আল আমিন বলেন, কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো অনেক সুন্দর। সবুজ পাতা আর লাল ফুল সৌন্দর্য ছড়িয়ে মুগ্ধ করছে সবাইকে। গাছ গুলো রক্ষণাবেক্ষণ দরকার। কৃষ্ণচূড়া ফুল যখন ফুটে লাল হয়ে যায় সবুজের মাঝে। তখন দেখা মিলে লাল সবুজের বাংলাদেশের পতাকার। এই ফুল দেখে অনেকে আবার মুগ্ধ হয়ে কলেজে এসে ছবিও তুলে।

তিনি আরো বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে গাছের ফুলসব পরে গিয়েছে। তবে এ ফুলগুলো আরো বেশী দিন থাকলে আমাদের ক্যাম্পাসের সুন্দরর্য আরো বেশ কয়েক দিন থাকতো।

দক্ষিণ জয়পাড়ার বাসিন্দা অনিক হোসেন বলেন, হাজী বাড়ি পুকুরে মাঝে মাঝেই বসি বাতাস আছে বলে। এই পুকুরের পাড়ে যে কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে সেটিতে যখন ফুলফুটে তখন বাসাসের সাথে সেই ফুল দেখে মন প্রাণ মুগ্ধ হয়ে যায়।

কৃষ্ণচূড়া এক ধরনের বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ; যার ইংরেজি নাম ফ্লেম ট্রি এবং বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। এই গাছ চমৎকার পত্র-পল্লব এবং আগুন লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ। এটি ফাবাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ।

আমাদের দেশে সাধারণত বসন্তের শেষের দিকে এ ফুল ফোটে। কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার আগে কলি দেখতে মোহরের মতো দেখায়, তাই হিন্দিতে এই ফুলকে বলা হয় গুলমোহর।

আপনার মতামত দিন