দোহারে ৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর অর্থদণ্ড

1413
Joypara, Dohar, Dhaka, জয়পাড়া, দোহার, ঢাকা
জয়পাড়া

দোহারে এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর অর্থদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আল-আমিন নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া একজন লাইব্রেরিয়ান ও ফটোকপির দোকানী জুবায়ের মোল্লাকে (২৪) ১৫ দিনের কারাদন্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের বরাতে জানা যায়, বুধবার সকাল পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগ মুহুর্তে টিএনও কেএম আল আমিন দুই শিক্ষার্থীকে কলেজ গেটের বাইরে কলেজ মার্কেটে মোবাইলে পড়তে দেখেন। এ সময় সন্দেহ হলে, তিনি তাদের মোবাইল জব্দ করে তাদেরকে পরীক্ষার হলে পাঠান। এরপর নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা শেষ হলে তিনি ঐ দুই জনের সাথে বাকি চারজনকে ডেকে আনেন কেন্দ্র সচিব তাপস নন্দীর রুমে। সেই চারজনকে জানানো হয়, ঐ দুই শিক্ষার্থীর মোবাইলে যে গ্রুপে প্রশ্ন পাওয়া গেছে সেই চ্যাটিং গ্রুপে তাদের নাম রয়েছে। তাই তারা একই কারণে অভিযুক্ত। এ সময় ঐ চার শিক্ষার্থী নিজেদের নির্দোষ দাবী করে জানায়, তারা আজ মোবাইল-ই আনেনি।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালত ম্যাজিস্ট্রেট তাদের বয়স ও ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে, ১০০০ টাকা জরিমানা করেন ও রচনা/ সৃজনশীল অংশের পরীক্ষা থেকে বিরত রাখেন। আর এই রায়ের প্রতিবেদন শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করেন এবং ফটোকপির দোকানীকে ১৫ দিনের কারাদন্ড দেন। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম আল-আমিন বিষয়টি উপস্থিত গণমাধ্যমকে অবহিত করেন।

অন্য খবর  দোহারে গান্ধীজি অভয়াশ্রম ও শ্মশানের জমি দখলের অভিযোগ

এদিকে পরীক্ষার্থীদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিজেদের পক্ষ সমর্থন করে নিউজ৩৯ কে বলেন, “তাদের মধ্যে ৪/৫ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে এসএসসিতে। এইচএসসি-তেও তাদের গোল্ডেন বা জিপিএ ৫ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আগে বা এখন কখনোই অনৈতিক ভাবে প্রশ্ন পাওয়ার চেষ্টা করে নি।“

শিক্ষার্থীদের সবাই উপজেলার মেঘুলা মালিকান্দা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী। এদিকে এই ভ্রাম্যমান আদালতের এই রায়ের প্রতিবাদে ও ঐ শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে বুধবার সন্ধ্যা রাতে মেঘুলা বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

আপনার মতামত দিন