ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের নির্বাচনী মঞ্চ ও মাইক্রোবাস ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের তীর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের দিকে।
শনিবার বিকালে ঢাকার দোহারের মেঘুলা ধোপাবাড়ি মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম অভিযোগ করেন। সালমা ইসলাম অভিযোগ করেন, তাঁর স্বতন্ত্র প্রতীক মটরগাড়ি’র পক্ষে কেউ প্রচারণা বা গণসংযোগ করলে তাদেরকে এলাকা ছাড়া করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে আওয়ামীলীগের কর্মী-সমর্থকরা। এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর হুমকি দিয়েছে তারা।
জানা যায়, শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় দোহারের মেঘুলার ধোপাবাড়ি মাঠে মটরগাড়ি প্রতিকের নির্বাচনী সভা ছিল। কিন্তু বেলা ৩টার দিকে শতাধিক নৌকা প্রতিকের কর্মী-সমর্থকরা ওই নির্বাচনী সভার প্যান্ডেল, চেয়ার ভাংচুর করে। পরে প্যান্ডেলসহ দুই শতাধিক চেয়ার ভেঙ্গে পদ্মানদীতে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মটরগাড়ি প্রতিকের কর্মী- সমর্থকরা।
জানা যায়, বিকাল ৩টার দিকে পাঁচটি মটর সাইকেলে ১০-১৫ জন যুবক এবং কয়েকটি মাইক্রোবাসে প্রায় শতাধিক নৌকা প্রতিকের সমর্থক মটরগাড়ি প্রতিকের প্যান্ডেল এবং চেয়ার ভাংচুর করে। প্রত্যেকটি গাড়ি এবং মটরসাইকেলে নৌকা প্রতিকের পোস্টার, স্টিকার লাগানো ছিল। এসময় তারা জয়বাংলা, জয়বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দেয়। প্যান্ডেল ভাংচুরের সময় নৌকা প্রতিকের ক্যাডারদের হাতে লাঠি-সোটা ছিল। এসময় এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দোহার থানার মোড়ে মটরগাড়ি প্রতিকের একটি মাইক্রোবাসে হামলা ও ভাংচুর করেছে নৌকা প্রতিকের নেতাকর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শী হোসেন বলেন, মটরগাড়ি প্রতিকের পোস্টার লাগানো মাইক্রোবাস দোহার থানার মোড়ে আসলে ২০-২৫ জন যুবক নৌকার শ্লোগান দিয়ে মাইক্রোবাসে হামলা চালায়। এসময় তাদের হাতে লাঠি সোটা ছিল। তারা গাড়ি ভাংচুর করে জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু; নৌকার জয় শ্লোগান দিতে দিতে চলে যায়।
এ প্রসঙ্গে দোহার সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, মটরগাড়ি প্রতিকের গাড়ি ভাংচুর বা সমর্থকদের হয়রানির বিষয়ে কোন তথ্য আমার জানা নেই। পুলিশের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগও করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মটরগাড়ি প্রতিকের প্যান্ডেল এবং মাইক্রোবাস ভাংচুরের ঘটনা জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।