দোহারে সাংসারিক কলহে স্ত্রীকে ন্যাড়া করে দেয়ার অভিযোগ

420

নির্যাতনের পর স্ত্রীর মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার দোহার উপজেলার পৌরসভার লটাখোলা এলাকায়। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম নূপূুর সুলতানা (৪০)। সে পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। এ ঘটনায় বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে স্বামী বাহারুল ইসলাম হিরু (৪৩) কে আসামি করে দোহার থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ঐদিন রাতেই বাহারুলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোহারের লটাখোলা এলাকার মৃত গুঞ্জর আলীর ছেলে বাহারুল ইসলাম হিরুর সঙ্গে নবাবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ চৌকিঘাটা এলাকার জালাল উদ্দিনের মেয়ে নূপুর সুলতানার সাথে ২০ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবি করে নুপুরকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন তার স্বামী। এছাড়া তাদের একমাত্র ছেলের পড়াশোনার খরচ বহন করতেন না নূপুরের স্বামী। এরই মধ্যে বিভিন্ন অজুহাতে নূপুরের বাবার কাছ থেকে ২লাখ টাকা ও ধার হিসেবে তার ভাই মুশফিকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেয়। এসব টাকা ফেরৎ না দিয়ে আবারও নূপূরকে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে ৬লাখ টাকা নেয় তার স্বামী। এরই মধ্যে গত ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নুপুরের বাবা ও ভাইয়ের দেয়া টাকা ফেরৎ চাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে বাধা দিলে বাহারুল আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পাশে থাকা কাঠের বাটাম দিয়ে এলাপাথারি আঘাত করে ঘর থেকে কাঁচি এনে মাথার চুল কেটে দেয় তার স্বামী।

অন্য খবর  পদ্মার ভাঙ্গন রোধে বরাদ্দকৃত টাকা ছিনতাই করতে অনেকে এখন বসন্তের কোকিল হয়ে আসতে চায় : সালমা ইসলাম

এবিষয়ে দোহার থানা ওসি তদন্ত এসএম কামরুজ্জামান জানান, এই ঘটনায় ভূক্তভোগী নূপুর সুলতানা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আমরা ঐদিন রাতেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তার স্বামী বাহারুল ইসলাম হিরুকে গ্রেফতার করে পরদিন সকালে আদালতে প্রেরণ করি।

আপনার মতামত দিন