দোহারে বৃষ্টিতে না হওয়ায়; খরায় পুড়ছে কৃষকের স্বপ্ন

451
খরায় পুড়ছে কৃষকের স্বপ্ন

ঢাকার দোহারে বিভিন্ন স্থানে এই মৌসুমে বাদাম চাষ হয়। গেলো বর্ষায় জমি পানির নিচে বেশিদিন থাকায় পলি পরে মাটিতে। তাই এই বছর বাদাম চাষ একটু বেশী হবে বলে আশাবাদী ছিলেন কৃষকেরা। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে তাদের আশা হতাশায় পরিণত হচ্ছে। তীব্র খরায় জমি পুড়ে বাদাম গাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

প্রতি বছর বৈশাখ মাস আসার আগেই কাল বৈশাখী ঝড়ের দেখা মিললেও এবারের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরার কারণে ফসল উৎপাদন কমার আশঙ্কা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্ঠরা। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ঢাকার দোহার উপজেলার কৃষকেরা।

চলতি মৌসুমে দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ও বিলাশপুরের ইউনিয়নের চরাঞ্চলে প্রায় ৬শত বিঘা জমিতে চাষ করা হয়েছে বাদাম। অপরদিকে বৃষ্টির দেখা না মেলায় আউশ ধান বপন করতে পারছেন না কৃষকেরা।

অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরায় বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের বাদামগাছ শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকের মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিভে গেছে তাদের মুখের হাসি। গুনতে হবে আর্থিক ক্ষতি এমনটাই আশঙ্কা করছেন তারা।

মাহমুদপুর ইউনিয়নের বাদাম চাষি সিরাজ মোল্লা জানান, এ বছর প্রায় ১০ বিঘা জমিতে তিনি বাদাম চাষ করেছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় জমির সব বাদামগাছ শুকিয়ে গেছে। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে অনেক টাকা। এ অবস্থায় আমরা যদি সরকারি সাহায্য না পাই তাহলে আমরা আর উঠে দাঁড়াতে পারবোনা।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জ বিএনপির নতুন কমিটি গঠন

ঐ অঞ্চলের হালিম বেপারী চাষি জানান, সেচ দিয়ে বাদাম চাষ করায় যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে, বাদাম বিক্রি করে খরচের টাকাই তোলা সম্ভব হবে না। লাভ তো অনেক দূরের কথা।

এ ব্যাপারে মাহমুদপুর ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সোলাইমান দেওয়ান বলেন, অতি খড়ায় নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ফসল। শুধু বাদাম নয় নষ্ট হচ্ছে বুরো ধানসহ আরও নানা ফসল।

দোহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুন ইয়াকুব বলেন, বৃষ্টির পানির বিকল্প নেই। আর এটা সম্পূূর্ণ প্রাকৃতিক বিষয়। খরার কারণে বাদামগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই এবার ফলন কম হতে পারে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সরকারি আর্থিক কৃষি প্রনোদনা পাবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি কিছু আর্থিক প্রনোদনা আউশ মৌসুমে আসবে। এ মুহূর্তে কৃষকদের শান্তনা দেওয়া ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।

আপনার মতামত দিন