ঢাকা দোহার উপজেলার চরলটাখোলা এলাকায় তুচ্ছ ঘটাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। উক্ত ঘটনায় একজন আহত হয়েছে। বুধবার দুপুর ১ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে মুসলেম বেপারি নিজ বাড়িতে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মুসলেম বেপারিকে উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মুসলেম বেপারিকে ভর্তি রাখেন।
মুসলেম বেপারি(৩০) বলেন, আমি নুরুজ্জামান এর কাছে থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়ে ছিলাম সেই টাকা সে চাচ্ছিল আমি তাকে বলেছি ঈদের পর টাকাটা দিয়ে দিব। পরে নুরুজ্জামান মোড়ল আমাকে তার নির্বাচন করতে বলে। কিন্তু আমি তাকে বলি উপজেলা চেয়ারম্যান ও রাশেদ চোকদার আমার মুরব্বি তারা আমাকে, যে দিক নির্দেষনা দিবে আমি তাই করবো। পরে সে বলে তুই কোথায় আছিস? আমি বললাম বাসায় তখন নুরুজ্জামান মোড়ল ও তার চার ভাইসহ দশ পনেরো জন আমার বাসায় দুপুর দেড়টায় এসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। আমাকে ও আমার মা বোনকে মারধর করে সে সময় আমার মা ও বনের গলায় থাকা দুইভরি চেইন তার সাথে আসা লোকজন নিয়ে যায়। পরে আমি চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে এলাবাসী এসে আমাদের উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এঘটনায় তার মা ও বোন মাছেনা আক্তার দোষী ব্যক্তির শাস্তি দিব করেন।
এবিষয়ে নুরুজ্জামান মোড়লের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি আজকে মুসলেম বেপারিকে আমার পাওয়ানো টাকার দেওয়ার জন্য ফোন দেই। তখন মুসলেম বেপারি আমাকে খারাপ ভাষায় গালাগালি করে। পরে এ কথা আমার সমর্থকরা শুনলে তার বাসায় গিয়ে তাকে চর থাপ্পড় দেয়। আমি যখন শুনি আমার সমর্থকরা তার বাসায় গিয়েছে তখনই তার বাসায় আমি চলে যাই এবং আমি আমার সমর্থকদের ফিরিয়ে নিয়ে আসি।
এবিষয়ে দোহার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, মারামারি ঘটনা ঘটেছে আমি শুনেছি। তবে আমি দূরে আছি সে জন্য বলতে পারতেসি না যে কোন অভিযোগ হয়েছে কি-না।