করোনার সময়ও দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে দোহারে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালিত হয়েছে। পুষ্টি বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও পুষ্টি উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে অভীষ্ট অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে ২৩ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২১।
জনগণের খাদ্যাভাস ও খাদ্য পরিকল্পনায় পুষ্টির বিষয়টিকে গূরুত্ব দেয়ার লক্ষ্যে এবছর পুষ্টি সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারন করা হয়েছে ‘খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবুন’।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উদ্যোগে ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই পুষ্টি সপ্তাহ। দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উদ্যোগে ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের ৫ম দিনে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ নাইম বলেন, সুষম খাবার খেতে হবে। আমাদের সমস্যা আমাদের সুষম খাবারের জ্ঞান নাই। কোভিড -১৯ এর সময় আমাদেরকে অবশ্যই সুষম খাবারে নজর দিতে হবে। এসব খাবার আমাদের আশে পাশেই পাওয়া যায় কিন্তু আমরা চিনতে পারি না। করোনার এসময় পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
মসফিকুর রহমান লিমন বলেন, এখন সবাই প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হবেন না। মাস্ক পড়বেন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন। আর স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার এই রোযায় খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখতে হবে।
আলোচনা সভায় , দোহার উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবারপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জসিম উদ্দীন বলেন, জন্মের এক ঘন্টার মধ্যে শিশুকে শালদুধ খাওয়াতে হবে। শিশুকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ এবং ৬ মাস বয়সের পর থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম বাড়তি খাবার দিতে হবে। শিশু সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে কিনা জানতে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত ওজন ও উচ্চতা পরিমাপ করতে হবে। কিশোর-কিশোরীদের ঘরে তৈরি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে। গর্ভবর্তী ও প্রসূতি মাকে স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দিন এবং নিয়মানুযায়ী আয়রন-ফলিক এসিড ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওযাতে হবে। পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের পুষ্টি চাহিদার প্রতি নজর দিতে হবে।
এই আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফএম ফিরোজ মাহমুদ, দোহারের আইনশৃঙ্খা বিভাগের সভাপতি মুশফিকুর রহমান লিমন ও হাসপাতালের অন্য অন্য চিকিৎসকবৃন্দ।
এই আলোচনা সভা শেষে ১৪ জনকে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে চাল ৫ কেজী,ডাল ৫ কেজী,তেল ৫ লিটার,লবণ ১ কেজী ছোলা ৫ কেজী,আলু ৩কেজী,পিঁয়াজ ১কেজী দেওয়া হয়।