ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায় বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূলের লক্ষ্যে ব্যাপক হারে কুকুরকে টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম ২০২১ উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ মাহমুদ।
জলাতঙ্ক! একে হাইড্রোফোবিয়া কিংবা পাগলা রোগও বলা হয়। আক্রান্ত রোগী পানি দেখে বা পানির কথা মনে পড়লে প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বলে এই রোগের নাম হয়েছে জলাতঙ্ক। এটি প্রাণিবাহিত র্যাবিস ভাইরাসঘটিত রোগ, রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর আক্রান্ত রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
বিশ্বে তথ্য মতে প্রতি ১০ মিনিটে একজন এবং প্রতিবছর প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যান। বাংলাদেশেও বছরে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেন জলাতঙ্কে। শুধু মানুষই নয়, প্রতিবছর প্রায় ২৫ হাজার গবাদিপশুও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে থাকে দেশে। জলাতঙ্কে রোগ সবচেয়ে বেশি ছড়ায় কুকুরের মধ্যেমে। আর এরাই মানুষের সবচেয়ে বেশি কাছাকাছি থাকে। তাই ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূলের জন্য কুকুরকে টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর ধারাবাহিকতায় দোহার উপজেলায় কিভাবে কুকুরকে টিকাদান করা যায় এবিষয়ে বক্তারা সভায় আলোচনা করেন।
গত কয়েক বছর আগে পৌরসভার উদ্যোগে কুকুর মারার কাজ শুরু হলেও তা এখন বন্ধ রয়েছে বলে জানান যায়। আর এতে দিনদিন কুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তেমনিভাবে কিছু দিন আগে দক্ষিণ জয়পাড়া সুমা আক্তার নামে এক ব্যক্তি কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। তাছাড়া সকালে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যাওয়ার সময় দল বাঁধা কুকুরকে দেখা আতঙ্কে থাকে।
দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, দোহার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোসা. শামীম নাহার, দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল, বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লাসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তাবৃন্দ।